“ধর্মনিরপেক্ষতা কোথায় ছিল? যখন ভারত ভাগ করে মুসলিমদের দুটো দেশ দেওয়া হয়েছিল”, প্রশ্ন তুললেন কানাডিয়ান লেখক তারেক ফাতাহ

আমাদের ভারত,৩ জানুয়ারি:সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন কানাডিয়ান লেখক তথা সাংবাদিক তারেক ফাতাহ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ধর্মের নামে যখন মুসলিমদের পুরো একটা দেশ দেওয়া হয়েছিল তখন কোথায় ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা?

এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিভাজন হলে সেটাকেও একটি ইসলামিক দেশেই পরিণত করা হয়েছিল। তখনোও ধর্মনিরপেক্ষতা কোথায় ছিল? কেন সে সময় বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়নি? বাংলাদেশ তো একসময় বঙ্গেরই অংশ ছিল। তাহলে তো বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করা উচিত ছিল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভারতীয় সেনাপ্রধান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পর ভারতের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী তা করেননি।

লেখক তারেক ফাতাহ বলেছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বর্তমানে বসবাসরত সংখ্যালঘুরা কয়েক দশক ধরে ভয়ানক অত্যাচারিত। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয় তাতে দোষের কি?

ফাতাহ আরোও বলেন, যারা ভারতকে ইসলামিক দেশ হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখে সিএএ-র ফলে তাদের স্বপ্নের জল ঢালা হয়েছে। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে গজবা এ হিন্দের স্বপ্নের জল ঢেলেছে।

তারেক ফাতাহ বলেন, ভারতের মানুষের উচিত, সস্তায় পেঁয়াজ, সস্তায় আলু না চেয়ে দেশের জন্য চিন্তা করা। কারণ দেশ না থাকলে কোন কিছুই থাকবে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সিএএর আওতায় আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেখানে মুসলিমদের শামিল করা হয়নি। তাই শরনার্থী হিসেবে মুসলিমদের যুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চলছে ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্যে। দেশের একাধিক প্রান্তে সিএএ বিরোধিতায় হিংসাত্মক ঘটনাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *