আমাদের ভারত,২৮ ফেব্রুয়ারি: এফআইআর দায়ের হতেই ফেরার হল তাহের হোসেন। আইবি কর্মী অঙ্কিত শর্মা হত্যায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলরের বাড়িতে প্রমাণের খোঁজে তল্লাশি শুরু করর ফরেনসিক দল। আগেই সিল করে দেওয়া হয়েছে তার বাড়ি
আইবি কর্মী অঙ্কিত শর্মাকে খুন করার অভিযোগে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলর তাহের হোসেনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দিল্লির দয়ালপুর থানায় তাহের হোসেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর এই এফআইআর দায়ের করার পর থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করা তাহের হোসেন বেপাত্তা।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন তাহের হোসেন। তারপর রাত থেকে আর তার কোন খোঁজ নেই। দল থেকে বহিষ্কৃত এই আপ কাউন্সিলরকে খুঁজছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। অন্যদিকে তাহের হোসেনের যে বাড়িতে পেট্রোল বোমা, অ্যাসিড, পাথর পাওয়া গিয়েছিলো তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ওই বাড়িতে পৌঁছয় একটি ফরেন্সিক দল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চাঁদবাগের নর্দমায় উদ্ধার হয়েছিল আইবি কর্মী অঙ্কিত শর্মার ক্ষতবিক্ষত দেহ। অভিযোগ অঙ্কিতের ওপর উন্মত্ত জানাতা হামলা চালায়। ময়নাতদন্তের তার শরীরে চারশোরও বেশি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অঙ্কিতের বাবা রবীন্দ্র শর্মা অভিযোগ করেছেন, “তাহের হোসেনের সমর্থকরাই তার ছেলেকে খুন করেছে। ব্যাপক মারধরের পর গুলি ও করা হয়েছে অঙ্কিতকে।”
কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছিল অভিযুক্ত তাহের হোসেন। তার দাবি ছিল সে সেখানে ছিল না। তার পরিবার ও বাচ্চাদের বাঁচাতে সে ব্যস্ত ছিল। এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক নোংরা খেলা। তাকে ভুলভাবে জড়ানো হচ্ছে।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লাঠি হাতে বাড়ির ছাদে ঘুরছেন তাহের হোসেন। সেই বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেট্রলবোমা ও পাথর। ছাদের নিচে তলাতে উদ্ধার হয়েছে অ্যাসিড। এমনকি ঐ বাড়িতে চার- পাঁচ জনকে হত্যা করারও অভিযোগ উঠেছে। অঙ্কিতের বাবা ও প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন ঘটনার দিন তাহেরের বাড়ি ছাদ থেকে দুষ্কৃতীরা পেট্রলবোমা ও পাথর ছুড়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তে নেমে দেখা গেছে তাহের বাড়ি থেকে পরিকল্পনা মাফিক দাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ বাড়ির বেসমেন্ট থেকে প্রতিটি ফ্লোরে ও ছাদে আলাদা আলাদা করে বস্তাবন্দি পাথর ইঁট পাওয়া গেছে। স্থানীয়রাও বলেছেন ঘটনার দিন ওই বাড়ির চারিদিক থেকে আক্রমণ চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে,আইবি কর্মী খুনে আপ কাউন্সিলে্য নাম জড়াতেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছেন যেই হিংসার ঘটনায় জড়িয়ে থাকুন তাকে রেয়াত করা হবে না। এমন কেউ যদি তার দলের সঙ্গে যুক্ত থাকে তবে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি পেতে হবে।