তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ৮ জানুয়ারি: মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে ছুটে গিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আঙুল তুলেছিলেন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে। ঘটনার জেরে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিতণ্ডায়। তার পর টালিনালা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তর এমনকী, সাধারণ রাজ্যবাসীর একাংশের থেকে শুনতে হয়েছে কুকথা। কিন্তু, দমতে নারাজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ফের তোপ দাগলেন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে। এবারও এক নেতার আটকে পড়া নিয়েই তিনি তোপ দেগেছেন। সেই নেতা বিজেপির সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
রাজ্যসভার এই সাংসদ বনধের বুধবারে বিশ্বভারতীতে গিয়েছিলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার জন্য। সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের আশঙ্কায় অনুষ্ঠানস্থল বদল করেও লাভ হয়নি। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের হাতে তিনি বন্দি হন। শুনতে হয়, ‘ক্যা ক্যা ছিঃ ছিঃ’ স্লোগানও। কোলাপসিবল গেট তালাবন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতি থেকে সাংসদ ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন বের হতে পারেননি। এবিভিপির লাঠিয়াল সদস্যরা গেটের বাইরে জড় হয়েও স্বপন দাশগুপ্তকে মুক্ত করতে পারেননি। শুধু মাটিতে লাঠি ঠুকেছেন আর পালটা স্লোগান দিয়েছেন।
এই বিতর্কেই শুক্রবার নতুন মাত্রা যোগ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর টুইট করেন, ‘ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে স্বপন দাশগুপ্তর ব্যাপারে কথা হয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এমন নৈরাজ্য এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি উদ্বেগজনক। এই ঘটনা রাজ্যের উদ্বেগজনক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের যে সরকার পিছু হঠছে। এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।’