আমাদের ভারত,৮ জানুয়ারি:জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় আক্রান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে একেবারে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। আর তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় তোলপাড়। কেউ কেউ যেমন দীপিকার এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তেমনই বিজেপির একাধিক নেতা তার এই পদক্ষেপের জন্য তার সব সিনেমা বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলায় জেএনইউ প্রাক্তনী এবং শিক্ষক সংগঠনের প্রতিবাদ সভা ছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন আহত নেত্রী ঐশী সহ প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরা ছিলেন কানহাইয়া কুমার। সেই হঠাৎই সকলের পাশে দাঁড়াতছ ক্যাম্পাসে পৌছেছিলেন দীপিকা। সাড়ে সাতটা নাগাদ ক্যাম্পাসে পৌছে তিনি বলেন, তিনি কোন বক্তৃতা করবেন না শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার বার্তাই দিতে এসেছেন।
ছবি প্রচারের জন্য দিল্লিতেই ছিলেন দীপিকা। অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণীর ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই নিয়ে তার নতুন ছবি ছপাক।একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মানুষের নির্ভয় বেরিয়ে এসে নিজের মত প্রকাশ করছেন সেটাই খুব ইতিবাচক।” আর পরেই তিনি ক্যাম্পাসে যান।
জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে বলিউডের বেশ কয়েকজন কে সরব হতে দেখা গেছে। অনুরাগ কাশ্যপ, স্বরা ভাস্কর এর মত মুখ খুলেছেন অনেকে। মুখ খুলেছেন আলিয়া ভাট, তাপসী পান্নু,রাজকুমার রাও, আয়ুষ্মান খুরানা, হৃত্বিক রোশন, অজয় দেবগন, অনিল কাপুর, সনাম কাপুর, বরুন ধাওয়ান এর মত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। কিন্তু দীপিকা জেএনইউ যেতেই পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিল্লিতে বিজেপির মুখপাত্র তেজেন্দর পাল সিং বগ্গ্যা টুকরে টুকরে গ্যাং-এর সমর্থনে দাঁড়ানোর অপরাধে দীপিকার সমস্ত ছবি বয়কট করার ডাক দিয়েছেন। টুইটারে বিজেপির নেতা কর্মীরা তাতে গলাও মিলিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দেশের ট্রেন্ডিংয়ে এক নম্বরে “বয়কট ছাপাক” দুই নম্বরে”আই সাপোর্ট দীপিকা”। এর আগে পদ্মাবত ছবি ঘিরেও কারনি সেনার রোষে পড়েছিলেন তিনি। তার নাক কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল তখনো। তার ছবি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এবারেও ঘটল একই ঘটনা। তবে বয়কটের আহ্বান নিয়ে দীপিকার কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।