আমাদের ভারত, ২৭ আগস্ট: “আমরা মমতার পদত্যাগ চাই। এই আন্দোলন এক দিনের নয়। কর্মসূচি আরও হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগে বাধ্য করব।” মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ-এর আন্দোলন যখন তুঙ্গে, সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা বললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেন, পশ্চিম বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হোক আমরা চাইব। বাকিটা আমরা দেখছি।
শুভেন্দুবাবু বলেন, “পুলিশ অসহায়। ছাত্র সমাজের ডাকে সাধারণ মানুষ পথে নেমেছেন। সরাসরি এখানে রাজনৈতিক দলের যোগ ছিল না। সাধারণ মানুষের এটি একটি সফল কার্যক্রম। তবে পুলিশের উস্কানি ছিল। তাঁরা প্রচুর মানুষকে মারধর করেছেন। পুলিশের জল কামানের জল শেষ। টিয়ার গ্যাসের গ্যাস শেষ। অসহায় অবস্থা পুলিশের।
কোথাও পুলিশ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
পুলিশকে আমি আবার বলব হেস্টিংস ও এমজি রোডে পুলিশ যেভাবে ধরপাকড় করছে বন্ধ করুন। আপনারা সামলাতে পারবেন না। সাঁতরাগাছির জনতাকে ভিডিয়ো কল করে অনুরোধ করেছি সাধারণ পুলিশ কর্মী এবং ছাত্র সমাজ সহ নিরীহ জনগণ তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশের জল কামানের জল শেষ। গ্যাস শেষ। তাঁরা বাধ্য হত গুলি করতে।
এই পরিস্থিতিতে আমি সাঁতরাগাছির জনতাকে ভিডিয়ো কল করে অনুরোধ করেছি, যে সাধারণ নিচের তলার পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। তাঁদেরও স্ত্রী আছে, মা আছে, বোন আছে। আমরা চাই না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব কুমারদের ভুল পলিসির জন্য তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এই মুহূর্তে হাওড়া ময়দানে নতুন করে পুলিশ জনতার খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সহ যারা আন্দোলন লিড করছে তাদের অনুরোধ করব আপনাদের আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন আছে। তবে লক্ষ্য রাখুন আন্দোলন করতে আসা মানুষ ও সাধারণ নিচু তলার মানুষের কোনও ক্ষতি হয়ে না যায়।
আর পুলিশকে বলব বেয়াদপিটা হেস্টিংসে বন্ধ করুন। ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লোকের মিছিল এসেছে। কলেজ স্কোয়ারের মিছিল আটকাতে পারেননি। ধর্মতলাতেও আটকাতে পারেননি। প্রথম ব্যারিকেড ভেঙ্গেছে।
দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙ্গার পথে। ব্রিজ টপকালেই নবান্ন। একদম কাছেই এসে গেছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার জনতা। আমি অনুরোধ করব আপনারা ধরপাকড় মারধর বন্ধ করুন। জাগ্রত জনতার সঙ্গে আপনারা পারবেন না। ফেল করবেন। আমি অনুরোধ করছি।
এই মুহূর্তে পুলিশেকে বলব সংযত হোন। আপনাদের হাতে কিছু নেই। পুরোটাই জনগণের হাতে। জনগণ বা যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁরা আহত হয়েছেন।”