আমাদের ভারত, ২৬ এপ্রিল: মুর্শিদাবাদে নিহত দুই হিন্দুর বাড়িতে গিয়ে শনিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দোষীদের শাস্তির জন্য যা যা করা দরকার, তা করা হবে বলেও শোকসন্তপ্ত পরিবারের লোকেদের আশ্বস্ত করেন।
গত ১২ এপ্রিল সেই হিংসায় প্রাণ যায় বাবা এবং ছেলে শমসেরগঞ্জের হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর পুত্র চন্দন দাসের। অভিযোগ, তাঁদের খুন করা হয়েছে। শনিবার তাঁদের পরিবারে গিয়ে মহিলাদের মধ্যে মেঝেতে বসে পড়েন শুভেন্দুবাবু। মৃতদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে পরিচিত হন।
মহিলারা দুই মৃতের ছবি কোলে নিয়ে কান্নাকাটি করতে শুরু করেন। শুভেন্দুবাবু সেই ছবি নিয়ে নিজের কপালে ঠেকান। নিজের হাতে তাঁদের কারও চোখের জল মুছিয়ে দেন। কারও হাত ধরে আর্জি জানান মানসিকভাবে ভেঙে না পড়তে।
এর আগে স্থানীয়দের জমায়েতের মাঝে ‘দোষীদের শাস্তি চাই’, ‘বন্দেমাতরম’ প্রভৃতি ধ্বনির মধ্যে শুভেন্দুবাবু দাস-পরিবারের বাড়িতে ঢোকেন। অনেকে হাত জোড় করে নমস্কার জানান। তিনিও হাত জোড় করে প্রতিনমস্কার জানান।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে নিহত বাবা এবং ছেলের আদ্যশ্রাদ্ধ ছিল বুধবার। অভিযোগ, পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য কোনও ক্ষৌরকার বা ব্রাহ্মণকে পায়নি তাঁদের পরিবার। নিজেদের মতো করেই কোনও রকমে কাজ সেরেছেন। দাবি, ভয়ে তাঁদের বাড়িতে কেউ আসতে চাননি। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। হিংসা ছড়িয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
শুভেন্দুবাবু পরিবারের সদস্যদের হাতে ১০লক্ষ ১হাজার টাকা তুলে দেন। তা গ্রহণ করেন পরিবারের সদস্যরা। এর আগে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছে পরিবার।