আমাদের ভারত, ১৭ ডিসেম্বর:কৃষকদের আন্দোলনের যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে। কৃষি আইনের বদল চেয়ে তাদের লড়াই করার অধিকারও আছে বলেই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে কৃষকদের উদ্দেশ্যে আদালতের বার্তা তাদের আন্দোলনের অধিকার থাকলেও রাজধানী শহর দিনের পর দিন অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে পারে না।
২২ দিন হয়ে গেল দিল্লি সিংঘু সীমান্তে কৃষক আন্দোলন চলছে। দফায় দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হলেও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। আন্দোলনের কারণে রাজধানীতে যাতায়াতের সমস্যা সহ একাধিক অভিযোগে একাধিক জনস্বার্থ মামলা ও হয়েছে।অন্যদিকে নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলে মামলা দায়ের করেছিল কৃষক সংগঠনগুলি। সেই মামলা গুলির শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তাতেই শীর্ষ আদালত জানালো আন্দোলনের অধিকার থাকলেও এভাবে রাজধানী শহর অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে পারে না দিনের পর দিন। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা জানান কৃষি বিশেষজ্ঞ, কৃষক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন প্যানেল তৈরি করে বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা ভাবছেন তারা।
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের যে প্রতিবাদ তা আমরা স্পষ্টভাবেই স্বীকৃতি দিচ্ছি। আন্দোলনকে খর্ব করার কোন প্রশ্নই নেই। কিন্তু এতে কারো জীবনের বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে তার মেনে নেওয়া যায় না। যতক্ষণ না একটা সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারেন এবং পুলিশ যেন তাদের কিছু না করেন।
বিচারপতি আরোও বলেন “কৃষকদের আন্দোলনের মৌলিক অধিকারই প্রথম বিচার্য, আইনের বৈধতা পরেও বিচার করা যাবে। আমরা লক্ষ্য করেছে কেন্দ্র কৃষকদের কিছুই বুঝিয়ে উঠতে পারেনি। আমাদের মনে হয় না কৃষকরা কেন্দ্রের কথা মেনে নেবে। তাই একটি আলাদা কমিটি গঠন করাই শ্রেয়।
তবে আন্দোলনকারী কৃষকদের উদ্দেশ্যেও বার্তা দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেছেন, “রাস্তার অবরোধ তুলতে হবে । এতে দিল্লির সাধারণ মানুষের অন্ন সংস্থানের সমস্যা হচ্ছে। আমরা আপনাদের আন্দোলনে সমব্যথী। কিন্তু এটার পদ্ধতি বদল করতে হবে, একটা সমাধান খুঁজতে হবে। আমরা আপনাদের প্রতিবাদে নাখ গলাবো না। তাই আপনাদের ঠিক করতে হবে কি করনীয়। দীর্ঘ সময় ধরে এমন অবরোধ চলতে পারে না।” বৃহস্পতিবার আর এক বিক্ষোভকারী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।