আমাদের ভারত, ১০ আগস্ট: বিভিন্ন হাসপাতালের অব্যাবস্থা নিয়ে ফের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
শনিবার তিনি নির্দিষ্ট ছ’টি কারণ দর্শিয়ে ওই
হাসপাতালের মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার বেশি রাতে চিকিৎসকের মৃত্যুর পর শুক্রবার দিনভর অশান্তি হয়। অভিযোগ, সেই সময় সন্দীপ ঘোষ দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেন।
এ ছাড়াও সুকান্তবাবু অভিযোগ পত্রে লেখেন, ‘আর জি কর-সহ রাজ্যের প্রায় সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে। টেন্ডার ডাকা থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি। স্বাস্থ্য ভবন থেকে শুরু হয়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতি’।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩০ অক্টোবর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুকান্তবাবু সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে দালাল রাজ। তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপারের বিরুদ্ধে রয়েছে হাজার হাজার অভিযোগ, তবু তাকে সেখানে রাখা হয়েছে। এছাড়া একাধিক মেডিক্যাল কলেজ অভিভাবকহীন হয়ে রয়েছে। আগামী দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেলে যেতে পারে এই এতো দুর্নীতির কারণে। এই কারণে আমি সব অভিযোগ ও তথ্য জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি। যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আবার শেষ হয়ে না যায়। উনি যাতে বিষয়টি দেখেন।’
এরপর গত ৩০ নভেম্বর ফের সুকান্তবাবুর নিশানায় পড়েন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চিঠি লেখেন সুকান্তবাবু৷ পাশাপাশি, ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কিছু বিষয়ও সুকান্তবাবুর লেখা ন’পাতার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷