আমাদের ভারত, ২২ সেপ্টেম্বর: রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ও ডিভিসি থেকে রাজ্যের দুই আমলার পদত্যাগের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি দাবি করেছেন, এটা অসাংবিধানিক কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী আমলাদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন। এছাড়াও বারবার বন্যা কবলিত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার উদ্দেশ্য আসলে আর জি কর কাণ্ড থেকে মানুষের নজর ঘোরানো বলেও দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার।
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, যেভাবে রাজ্যের দুই সরকারি আমলাকে সরিয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী তা সম্পূর্ণ অসংবিধানিক। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি আমলাদের রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করছেন। এটা ভারতের আর কোথাও দেখা যাবে না। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন ভারতের মধ্যে বাংলাকে একটা দেশে পরিণত করতে। কিন্তু আমরা তা করতে দেবো না।”
গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় ঘুরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী চান গোটা পশ্চিমবঙ্গের নজর আরজিকর থেকে সরিয়ে বন্যার দিকে ঘুরিয়ে দিতে। বন্যার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর সেটা আমরাও মানছি। আমরাও সহযোগিতা করছি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন মিডিয়ার প্রচারে টিকে থাকতে।”
কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, জনতা তো লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মমতা গেলেই পেটাবে। ওকে বেশি দূরে যেতে মানা করবো। উনিতো আমারও মুখ্যমন্ত্রী। কোনো ভাবে যদি তিনি চ্যালা কাঠ দেখে ফেলেন তাহলে আমারও তো মান সম্মানে লাগবে।
অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মন্ডলের জামিনে মুক্তির বিষয়ে সুকান্ত বলেন, জামিনে ছাড়া পেয়েছেন, মুক্তি পাননি। মামলা এখনো চলবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর পাশে তো জেলখাটা আসামিদের দেখা যায়। এবার অনুব্রত মণ্ডলকেও দেখা যাবে। অসুবিধার কি আছে?
চিকিৎসা পরিষেবার দুর্নীতিতে উত্তরবঙ্গ লবি নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের অন্য কিছুই তো ছিল না, কিন্তু মান সম্মানটা ছিল। চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের জন্য এই উত্তরবঙ্গ লবি একদম সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। এই তৃণমূল কংগ্রেসের পোষ্য পুত্ররা উত্তরবঙ্গের মান সম্মান নষ্ট করে দিল।