আমাদের ভারত, ৫ এপ্রিল: আগেই রাজ্যে করোনায় মৃত্যু নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এবার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার নির্দিষ্ট করে অভিযোগ করলেন ডেঙ্গুর মত রাজ্য সরকার নোটিশ জারি করেছে, যে রোগীর করোনায় মৃত্যু হল কিনা সেটা ঠিক করে দেবে সরকারের গড়া কমেটি। তাঁর অভিযোগ এটা বেআইনি হস্তক্ষেপ। এরফলে করোনায় মৃত্যু হলেও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এই নির্দেশিকার জন্য বিশেষ ভাবে ভুগছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ।
তাঁর কথায় মেডিক্যাল এথিকস অনুসারে যে ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা করছেন তারই এই অধিকার রয়েছে বলার যে রোগীর কি কারনে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই নির্দেশিকায় মাধ্যমে ডাক্তারদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ করেন সাংসদ।
এই নির্দেশিকার ফলে সাধারণ মানুষকেও ভুগতে হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। রোগীর মৃত্যুর পর বাড়ির লোকজনকে মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে জন্য বসে থাকতে হচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গের ক্ষেত্রে যদি কোনো রোগী কোবিড-১৯ এ মারাও যাচ্ছেন তাহলেও চিকিৎসকরা তার ডেথ সার্টিফিকেটে সেটা উল্লেখ করতে পারছেন না নির্দেশিকার কারণেই। কারণ কলকাতায় এই বিষয়ে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব হলেও শিলিগুড়িতে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উত্তর বঙ্গে কেউ করোনায় মারা গেলেও চিকিৎসকদের কাছে মৃত্যুর অন্য কারণ লেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই সম্পূর্ণ বিষয়টিকে সাংসদ বেআইনি বলে অভিযোগ করেছেন। আর যদি কোনো রোগীকে করোনা রোগী হিসেবে ঘোষণাই না করা হয় তাহলে এই রোগে মৃতের পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণও দাবি করতে পারবে না। কারণ তাদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগে চিকিৎসকরা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। কিন্তু তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্য সচিব ঘোষণা করেন মৃতের সংখ্যা ৩। মুখ্যমন্ত্রী পরে বলেন। তিন জনের মৃত্যু কোরোনায় হয়েছে। কিন্তু বাকিদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে। এরপরই বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন করোনা মৃতের সংখ্যা জনিত তথ্য গোপনের। সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, করোনায় মৃত্যু হয় নিউমোনিয়া ও কিডনি ফেলের কারণে। এটা উল্টে দিলে বিপদ। রোগ চেপে রাখলে আরও বাড়ে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার কথায় মৃত্যুর কারণ চিকিৎসক লেখেন মুখ্যমন্ত্রী নয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ডেঙ্গু হলে অজানা জ্বর আর করোনায় নিউমোনিয়া ও কিডনি ফেইলিওর বলে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির আর এক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও বলেছেন রাজ্য সরকার করোনা আর ডেঙ্গুকে এক করে ফেলেছে। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেছিলেন এভাবে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে রাজ্য সরকার। এভাবে মহামারী আটকানো যায় না।
সে আবার কেমন কি কথা ! সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তাঁরা কোনও কম্পেনসেশান পাবেন না ! ! ! ! এটা অনৈতিক ॥