আমাদের দেশে, ২৫ জানুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলই প্রচারই নেমে পড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরেও “গ্রাম সম্পর্ক অভিযানে”র মাধ্যমে নিজের কেন্দ্রের গ্রামাঞ্চলে প্রচার শুরু করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তফশিলি সম্প্রদায়ের প্রবীণ মানুষদের নিজে হাত পা ধুইয়ে সম্মান জানান সুকান্ত মজুমদার।
আজ দক্ষিণ দিনাজপুর সাংগঠনিক জেলার কুশমন্ডি বিধানসভার অন্তর্গত আঙ্গারিবন গ্রামে বিজেপি তফশিল মোর্চা আয়োজিত গ্রাম সম্পর্ক অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির অন্যান্য স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিন গ্রামের বেশ কিছু তফশিলি সম্প্রদায় ভুক্ত প্রবীণ বাসিন্দাদের নিজে হাতে পা ধুইয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সেখান থেকেই আবার তার জেলায় মেডিকেল কলেজ গড়ার দাবিতে সোচ্চার হন তিনি। জানান, এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি চিঠি দিয়েছেন।
গ্রাম সম্পর্ক অভিযানের একাধিক ছবি সুকান্তবাবু তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে কাঁসার থালায় পা রেখে বসে রয়েছেন প্রবীণরা। বালতি থেকে ঘটিতে জল নিয়ে তাদের পা ধুইয়ে দিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। পা ধোয়ানোর পর গামছা দিয়ে পা মুছে দিচ্ছেন তিনি। তারপর আলিঙ্গন করে প্রত্যেককে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন। এভাবেই দক্ষিণ দিনাজপুরে গ্রাম সম্পর্ক অভিযানের সূচনা করেন তিনি।
তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় তফশিলি মোর্চার নির্দেশ অনুযায়ী তফশিলি মোর্চা গ্রাম সম্পর্ক অভিযানের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। আমাদের রাজ্যে তফশিলি মোর্চার উদ্যোগে গ্রামের প্রবীণদের পা ধোয়ানোর আয়োজন হলো। তফশিলি জাতি ও উপজাতি সমাজের বয়স্ক মানুষদের সম্মান জানিয়েছি আমরা। জীবনের অনেকটা বছর তারা জাতির জন্য অতিবাহিত করেছেন। তাদের এই অবদানকে আজ স্বীকৃতি জানালাম আমরা।
যদিও তৃণমূলের তরফে তার এই পদক্ষেপকে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মাটি উদ্ধার করতে লোক দেখানো চমক বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার পাল্টা দাবি করেছেন, তারা চমক দেন না। সমাজকে সঠিক পথে চালনা করতেই রাজনীতি করেন। তাই শুধুমাত্র নির্বাচনে জেতার জন্য তারা রাজনীতি করেন না, মানুষের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন।

