আমাদের ভারত, ২৭ নভেম্বর: দিদি তখন ছিলেন বাঁকুড়ায়। অর্থাৎ সোমবার দুপুরেই তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। কলকাতায় সরকারের দেওয়া পুলিশি পাইলট ছেড়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। দিদি কলকাতায় ফিরতেই বুধবার হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। আজ আর রহস্য বাকি থাকলো না। নিরাপত্তা ছাড়ার পর শুক্রবার সকাল হতেই মন্ত্রিসভা তথা সরকারের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেচ, পরিবহণ, জলসম্পদ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এটি ২১-র ভোটের আগে সবচেয়ে বড় ঘটনা তাতে কোন সন্দেহ নেই।
শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের সম্ভাবনা প্রবল উঠেছিল। গত জুলাই মাসে থেকেই উৎকণ্ঠা শুরু হয়। কিন্তু প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের সাথে শুভেন্দু আলোচনায় বসার পর অনেকেই আশায় ছিলেন হয়তো তিনি থেকে যাবেন তৃণমূলে। নিজেও বলে ছিলেন আমাকে দল থেকে তাড়ানো হয়নি। যদিও শোনা যাচ্ছে, তিনি তার ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন বিতর্কের জেরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন রাজ্যের মানুষকে সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। দ্রুত ইস্তফা গ্রহন করা হোক।
কিন্তু এই শুভেন্দু শুক্রবার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার খবর পাওয়ার পরে ব্যপক আন্দোলিত তৃণমূলের উপর থেকে নিচুতলার কর্মীরা। তাদের অনেকেই মনে করছেন শুভেন্দুর দলত্যাগ এবার শুধুই সময় অপেক্ষা। যদিও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন তিনি শুভেন্দুর সাথে কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষ বলেছেন,” কোনো ভদ্র লোক তৃণমূলে থাকতে পারেন না। শুভেন্দু দরজা খুলে দিয়েছেন এবার হুর হুর করে সবাই দল ছাড়বে। শুভেন্দুর জন্য তাদের দরজা খোলা আছে। ” জানা যাচ্ছে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আগামীকাল শুভেন্দু দিল্লি যেতে পারেন।