জনগণমন’র শব্দ পাল্টানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সুব্রমণ্যম স্বামীর

আমাদের ভারত,১৩ ডিসেম্বর:রবি ঠাকুরের লেখা জনগণমনর যে সংস্করণ নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজে গ্রহণ করেছিলেন সেটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি লিখেছেন জাতীয় সংগীতের সিন্ধুর মতো শব্দ রয়েছে যা স্বাধীনতার পর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ভারতের যুব সমাজের বেশির ভাগেরই এই দাবি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। স্বামী আশা প্রকাশ করেছেন ২০২১এর ২৬ শে জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংগীতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে ফেলবে ভারত সরকার।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর মন্তব্য করেছিলেন, ভবিষ্যতে জাতীয় সংগীতের কিছু শব্দ বদলানো হতে পারে। সেই কথাও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরোও উল্লেখ করেছেন ১৯৪৩ এর ৩১শে অক্টোবর মনিপুর থেকে ব্রিটিশদের সরিয়ে দেওয়ার পর জনগণমনর যে সংস্করণ নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের গ্রহণ করেন সেটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। এই গানটি কাওমি তারানা নামেও পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের জনগণমনর প্রথম স্তবকটি আমাদের জাতীয় হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এটি গাওয়ার কথা ৫২ সেকেন্ড। সেখানে যদি আজাদ হিন্দের গানের প্রথম স্তবকটি গাইতে সময় লাগে ৫৫ সেকেন্ড । তবে এই সংস্করণটিতেও অবশ্য সিন্ধু শব্দটি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *