পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ মার্চ: আবারও সমস্যায় থাকা মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো সুবর্ণরৈখিক ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা বিষয়ক ফেসবুক পরিবার ‘আমারকার ভাষা, আমারকার গর্ব’। মেদিনীপুর শহরের বক্সী বাজার দক্ষিণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় রাঁধুনি ষাটোর্দ্ধ মন্টু মাইতি বেশ কিছুদিন আগে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এবং তাঁর পা ভেঙ্গে যায়। স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ডের মাধ্যমে তাঁর পায়ের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাঁর এই মুহূর্তে চলাফেরার প্রয়োজনে একটি ‘ওয়াকার’ খুব প্রয়োজন ছিল।
ওয়াকারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন সমাজকর্মী ঝর্ণা আচার্য। সেই পোস্টে সাড়া দিয়ে সুবর্ণ রৈখিক পরিবারের পক্ষে থেকে সহযোগিতা করতে চান বলে জানান গ্রুপের অ্যাডমিন বিশ্বজিৎ পাল। বিশ্বজিৎ পালের সূত্রে এই মহৎ উদ্যোগে সুবর্ণরৈখিক পরিবারকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন সুবর্ণ রৈখিক এলাকার ভূমিপুত্র, ঝাড়গ্রাম জেলার কুলটিকরির বাসিন্দা বিশিষ্ট দন্ত্য চিকিৎসক ডাঃ উজ্জ্বল দাস। উজ্জ্বলবাবুর আর্থিক সহযোগিতায় পরিকল্পনা মতো রবিবার দুপুরে মন্টুবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে ওয়াকার তুলে দেন সুবর্ণ রৈখিক পরিবারের সদস্যরা।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, সমাজকর্মী ‘শিক্ষারত্ন’ সুব্রত মহাপাত্র, সমাজকর্মী মনোজ পট্টনায়েক, চিত্রশিল্পী শিক্ষক নরসিংহ দাস, সমাজকর্মী তৃণা আচার্য মাইতি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সুবর্ণরৈখিক পরিবারের পাশাপাশি মন্টু মাইতির পাশে দাঁড়াতে চেয়ে ঝর্ণা আচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র, মেদিনীপুর ছাত্র সমাজ, মেদিনীপুর নাগরিক সহায়ক কমিটি সহ আরও বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বেশ কয়েকজন মানবদরদী ব্যক্তি। তাঁর আহ্বানে সাড়া দেওয়ায় সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওয়াকার পেয়ে খুশি মন্টু বাবু সহ তাঁর পরিবার পরিজন।