সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৩ মার্চ: ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও ক্রয়- বিক্রয়ে সরকারি স্তরে কড়া নজরদারির দাবি জানিয়েছে ওষুধ বিক্রেতা সংগঠন বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। দেশজুড়ে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ নিয়ে রোগী থেকে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। মুদ্রিত দামের উপর শতাংশ হারে মূল্য ছাড়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ বিভিন্ন স্থানে হানা দেওয়ার পর একের পর এক ভেজাল, নিম্নমানের ওষুধ ধরা পড়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে রোগীর পরিবার বিভ্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছে ওষুধ বিক্রেতাদের সংগঠন বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। আজ বাঁকুড়ার মাচানতলা মোড়ে সংগঠনের উদ্যোগে এক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের বাঁকুড়া সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ আগরওয়াল বলেন, -সারা দেশে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ধরা পড়েছে। এই রাজ্যের আমতা ও কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ড্রাগ কন্ট্রোলের অভিযানে এরকম ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে তাদের সংগঠনের উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মানুষকে ওষুধের নির্ধারিত মূল্যের উপর শতাংশ হারে ছাড় দিয়ে বিক্রি করছেন। মানুষ কম মূল্যে ওষুধ পাওয়ার লোভে প্রতারিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, ওষুধের মূল্য নির্ধারিত হয় সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থার মাধ্যমে। সেখানে উৎপাদিত ওষুধের দাম, পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা কত শতাংশ লাভ পাবে তা নির্দিষ্ট করা থাকে। সেখানে কী করে নির্ধারিত মূল্যের উপর ছাড় দেওয়া যায়? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ওষুধের সঠিক মান ও সঠিক দামে তা বিক্রি হচ্ছে কি না তা যাচাই ও ভেজাল ওষুধের উপর সরকারি স্তরে কড়া নজরদারির দাবি জানিয়ে শ্রী আগরওয়াল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তিনশোটি ওষুধের উপর বার কোর্ড লাগানো বাধ্যতামূলক করেছেন। তিনি এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে বলেন, তিনশোটি নয়, প্রত্যেকটি ওষুধের উপর বার কোর্ড বাধ্যতামূলক করার দাবি জানাচ্ছি সংগঠনের তরফ থেকে। এর ফলে ওষুধের মান এবং ওষুধ সম্বন্ধে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই প্রকৃত তথ্য জানতে পারবেন।