Sukanta, BJP, মহেশতলা যেতে বাধা! মুখ্যমন্ত্রীর তোষণে সহযোগী পুলিশকে মমতার ব্যাক্তিগত দাস বলে হাওয়াই চটি দেখিয়ে প্রতিবাদ সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১২ জুন: রাজ্যে হিন্দু বিরোধী সরকার চলছে বলে সরব বিজেপি। বুধবার মহেশতলার ঘটনার পর তুলসী মঞ্চ নিয়ে আজ সেখানে যেতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে জানানো হয়, সেখানে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। এরপর সুকান্তবাবু গাড়ি ঘুরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি কালীঘাটের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন। রাস্তায় তাকে গ্রেফতার করে ভ্যানে তোলে পুলিশ।

এদিন পুরো ঘটনায় একাধারে যেমন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগে সরব হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, তেমনি মহেশতলায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, আর আজ তাকে আটকাতে পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হন সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে হাতে হাওয়াই চপ্পল তুলে ধরে পুলিশকে ব্যঙ্গ করেন তিনি। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করা ছাড়া এরাজ্যের পুলিশ মানুষের জন্য কোনো কাজ করে না।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, গতকালও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রবীন্দ্রনগরে মৌলবাদী জিহাদিদের সামনে সাদা কাপড় নাড়তে বাধ্য হয়েছিল—(সুকান্ত বাবুর দাবি এভাবেই নাকি পুলিশ দুষ্কৃতীদের থামতে অনুরোধ করেছিল মহেশতলায়) মেরুদণ্ডহীন, অসহায় এবং অপমানিত অবস্থা ছিল পুলিশের। আর আজ, হঠাৎ করে, তারা যোদ্ধা হয়ে দেখা দিচ্ছেন— উৎসাহের সাথে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুসরণ করছে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্ধ আনুগত্য কেবল নয়, তার সাথে পুলিশ তার দাসত্বেও নিমজ্জিত!

তিনি লিখেছেন, “আজ, যখন আমরা নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে মহেশতলার দিকে অগ্রসর হলাম, প্রশাসন ১৬৩ ধারা উল্লেখ করে আমাদের পথ আটকে দিল। পরে যখন আমরা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিলাম, এই ঘটনায় তার নীরবতা এবং তোষণের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে, তখন তার অনুগত কলকাতা পুলিশ ব্যক্তিগত দাসের মতো আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অন্ধভাবে তাদের প্রভুকে রক্ষা করেছিল। প্রকাশ্য দিবালোকে, আমাদের নেতা ও কর্মীদের নির্লজ্জভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিজেপির কার্যকর্তাদের উপর প্রশাসনিক অত্যাচারের এটি এক নগ্ন প্রদর্শন। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা, যেখানে উগ্র মৌলবাদীরা উন্মত্তভাবে দৌড়াদৌড়ি করে, হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হয়, এবং যে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে রাষ্ট্রযন্ত্রের চাপে পিষ্ট করা হয়।

মালদা, মুর্শিদাবাদ, বা মহেশতলা- মুখ্যমন্ত্রী কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক রক্ষা করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। হিন্দুদের নিরাপত্তা তার এজেন্ডায় নেই। কারণ তার লক্ষ্য স্পষ্ট – বাঙালি হিন্দুদের তাদের নিজস্ব মাতৃভূমিতে শরণার্থীতে পরিণত করা।

সুকান্ত মজুমদারের দাবি, একটি উগ্র জিহাদী ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হচ্ছে, এবং তাতে এই রাজ্যের শাসক সরাসরি সহযোগী। কিন্তু মনে রাখা উচিত- আমরা মাথা নত করব না। আমরা প্রতিরোধ করব। আমরা এই বাংলার প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। কোনও পুলিশ বাহিনী, কোনও হুমকি, কোনও মিথ্যা বর্ণনা আমাদের কণ্ঠস্বরকে দমন করতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *