সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৯ জানুয়ারি:
মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবেলিটি বিভাগের পরিচালনায় এবং এমটিপিএস হাসপাতালের সহযোগিতায় বিনা ব্যয়ে এলাকার দুঃস্থ পরিবারের মহিলাদের বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচিতে গত দু’দিনে ২৫ জনের বন্ধ্যাকরণ করা হয়। এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন প্রকল্পের প্রিন্সিপাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত ষন্নীগ্রাহী। এদিন এমটিপিএস হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জেন ডাঃ অরুনাভ দাস বন্ধ্যাকরণ করেন। অ্যনাসথেটিস হিসাবে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডাঃ সঞ্জয় কুমার। উপস্থিত ছিলেন, সিএসআর বিভাগের ডিজিএম অশোক কুমার তেওয়ারি, ডিজিএম (হেলথ সার্ভিস) ডাঃ রাজর্ষি রায় সহ অনেকে।
এমটিপিএস হাসপাতালের সুপার ডাঃ দিব্যসুন্দর মন্ডল বলেন, বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১০ কিমি ব্যসার্ধের মধ্যে ৬৪টি গ্রাম সিএসআর আওতায় আনা হয়েছে। এই গ্রামগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৫টি কেন্দ্র রয়েছে। সপ্তাহে ১ দিন করে শিবিরগুলি থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিনা ব্যয়ে চিকিৎসা করেন গ্রামবাসীদের। এছাড়াও হাসপাতালে মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে প্যাথলজিক্যাল পরিষেবা সহ সমস্ত রকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি ধারাবাহিক ভাবে চলে আসছে। চলতি মাসে ধাপে ধাপে ৫০ জনের বন্ধ্যাকরণ করা হবে। গত ২ দিনে ২৫ জনের বন্ধ্যাকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৮ জানুয়ারি ফের এই কর্মসূচিতে বন্ধ্যাকরণ করা হবে। এছাড়াও ১৬ জানুয়ারি চক্ষু পরীক্ষা ও ছানি অপারেশন কর্মসূচি রয়েছে।
স্থানীয় দুবেরডাঙা গ্রামের বাসিন্দা পুষ্প বাউরি তার বৌমার অপারেশনের পর বলেন, ডিভিসির এই উদ্যোগ খুব ভালো। ব্যবস্থাও খুব ভালো। বৌমার অপারেশন হয়েছে। সোমবার ভর্তি হয়েছে। খাওয়া দাওয়া থেকে ওষুপত্র সব দিচ্ছে হাসপাতাল থেকে। মেজিয়ার হুচুকডাঙা গ্রামের তুফান দত্তের স্ত্রীর বন্ধ্যাত্বকরণ হয়েছে। তিনি বলেন পরিচ্ছন্ন শয্যা, ওষুধ, সব কিছুই সুযোগ ডিভিসি করে দিয়েছে।