রাজেন রায়, কলকাতা, ১০ জানুয়ারি: বিধানসভা নির্বাচনের আগে করোনার টিকাকরণ যে রাজনৈতিক ইস্যু হবে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। এবার করোনার টিকাকরণ শুরু হওয়ার আগেই তার কৃতিত্ব কে নেবে তা নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। আর এই বিতর্কের কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি। যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘সমস্ত রাজ্যবাসীকে বিনামূল্য টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।’ বিজেপি-সহ বিরোধীদের দাবি, আগেই বিনামূল্যে টিকার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশবাসীকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩ কোটি মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে যাদের মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা আছেন। পরবর্তী পর্যায়ে ৫০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তি এবং কো–মরবিটি মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্যের পুলিশকর্তা ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের লেখা সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী করোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশ জানিয়েছেন। এরপর লিখেছেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের সরকার রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। বাংলার সমস্ত পুলিশ, হোমগার্ড, অসামরিক প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক, সংশোধনাগার ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের কাছে আমরা এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেব।’
মমতার এই চিঠিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘চাল, বাড়ির পর এবার টিকা চুরি করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই বলেছেন দেশের ১৩৫ কোটি মানুষ বিনামূল্যে টিকা পাবেন। দিলীপের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কি টিকা আবিষ্কার করেছেন? মমতার চিঠির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে টিকা ঘুষ দিতে চাইছেন মমতা।’