কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনার ৭২ ঘন্টা পর এলাকায় গেলেন পুলিশ সুপার, ফাঁসির চেয়েও কঠোর সাজার দাবি জানালেন বাসিন্দারা

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৮ জানুয়ারি: কিশোরী খুনের ঘটনার ৭২ ঘন্টা পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন এসপি। অভিযুক্তদের ফাঁসির চেয়েও কঠোর সাজার দাবি জানালো স্থানীয়রা। বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিষ নন্দীকে সঙ্গে নিয়ে কুমারগঞ্জের সাফানগরের বেলখোর পাকুরতলা এলাকায় পৌঁছান জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। এদিন প্রথমে থানায় পৌঁছে সেখান থেকে ওসি সঞ্জয় মুখার্জি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান পুলিশ সুপার। ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ আধিকারিকদের দেখতে মাঠে ছুটে আসেন আশপাশের গ্রামের কয়েকশো মানুষ। দীর্ঘক্ষণ এলাকায় দাঁড়িয়ে কালভার্টের রক্তাক্ত এলাকা সহ হিউম পাইপ খতিয়ে দেখেন পুলিশ সুপার।

জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, পুলিশ এই ঘটনায় সাত দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা করবে। গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্তকে আদালতে পাঠিয়ে দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য সোমবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া তিন
অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড নিয়েছে কুমারগঞ্জ থানা। বিক্ষোভ আন্দোলন সহ জেলা জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়তেই এক প্রকার চাপে পড়ে জেলা পুলিশ সুপার সাত দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা জানান সংবাদমাধ্যমকে। যার পরেই এদিন সকাল থেকে জোর তৎপরতা লক্ষ্য করা হয় পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। রবিবার রাতের নৃশংস ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার বালুরঘাট থেকে কুমারগঞ্জ থানায় সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত পৌছালেও সেখান থেকে সামান্য দূরে ঘটনাস্থলে না গিয়ে কিছুটা বিতর্কে জড়ান তিনি। জেলা পুলিশ আধিকারিকের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। যদিও এদিন বিকেলে থানা থেকে সোজা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন পুলিশ সুপার।

এলাকার বাসিন্দা সাধন মন্ডল জানিয়েছেন, নৃশংস এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ তিন জনকে ফাঁসির থেকেও যদি কোনও বড় সাজা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *