আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৫ ফেব্রুয়ারি: হাইকোর্টের নির্দেশে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর পদ হারানোর আশঙ্কায় শুভাশিস পাল। পদ যেতে পারে কো’মেন্টর মৌমিতা মন্ডলেরও। পঞ্চায়েত আইন দেখে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জেলা শাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে তৈরি করা হয়েছে মেন্টর, কো’মেন্টর পদ দাবি বালুরঘাটের সাংসদের। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন পঞ্চায়েত আইনে মেন্টর, কো’মেন্টর বলে কোনও পদই নেই। জেলা পরিষদে খবরদারি করতে এবং কিছু লোককে পয়সা রোজগার করিয়ে দিতেই এমন পদ তৈরি করা হয়েছে। এমন একজনকে জেলায় এই পদ দেওয়া হয়েছে যে জনগণের টাকা অপচয় করে নীল বাতির গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন। ত্রুটিপূর্ন এই নিয়োগ নিয়ে আদালতের থাপ্পড় খেতে না চাইলে জেলা শাসকের উচিত অবিলম্বে মেন্টর, কো’মেন্টর পদ থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া।
জেলা শাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, অনেক জেলাতেই এই পদ রয়েছে। পিএনআরডি দপ্তর থেকে এই নিয়োগ হয়েছে। তাঁরাই বিষয়টি দেখবেন।
উল্লেখ্য, বিজেপিতে থাকাকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বর্তমান তৃণমূল নেত্রী লিপিকা রায় হাইকোর্টে একটি মামলা করেছিলেন। যার সূত্র ধরেই হাইকোর্ট নির্দেশিকা জারি করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরে। পঞ্চায়েত আইনে মেন্টর, কো’মেন্টর পদের উল্লেখ আছে কি না তা দেখে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসককে।
কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী মৌসুমি ভাওয়াল জানিয়েছেন, হাইকোর্ট ডিএমকে বলেছে প্রভিশন আছে কি না। তা দেখে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় জানিয়েছেন, অন্য দলে থাকার সময় তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তাঁদের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ যা বলবেন তাই মেনে চলবেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, এটা আমাদের বিষয় নয়। প্রশাসন দেখবে। মেন্টর থাকলেও জেলা পরিষদ আমাদের দখলে থাকবে না থাকলেও আমাদের দখলে থাকবে।
শুভাশিষ পাল অবশ্য মেন্টর পদ বাতিলের দাবি অস্বীকার করে রাজ্যসরকারকে এব্যাপারে হলফ নামা দেবার কথা বলা হয়েছে আদালতের তরফে।