আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৪ জানুয়ারি: কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনায় প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে জেলায় আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে রোষের মুখে পড়তে পারে পুলিশ প্রশাসন। বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার জেলায় এসে কিশোরী খুনের তদন্ত প্রক্রিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সাওয়াল করতে পারেন কেন্দ্রের টেক্সটাইল, বস্ত্র এবং হস্তশিল্প মন্ত্রী।
মৃত কিশোরীর পরিবারের সাথে দেখা করার পাশাপাশি ঘটনা নিয়ে কথা বলতে পারেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জেলায় আগমণের কোনও সুনির্দিষ্ট দিন এখনো ধার্য না হলেও তিনি যে জেলায় আসছেন সে বিষয়ে সুনিশ্চিত করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের শেষে অথবা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই জেলায় আসার সম্ভবনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির।
বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মন্ত্রী কবে আসবেন সেই বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট দিন ধার্য হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে জেলায় আসবেন স্মৃতি ইরানি।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফানগরের বেলখোর পাকুরতলা এলাকায় কালভার্টের নিচ থেকে থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর মৃতদেহ। প্রকাশ্যে আসে গণধর্ষণের পর গলার নলি কেটে খুন করে পেট্রোল ঢেলে পোড়ানোর ঘটনা। দোষীদের ফাঁসির সাজার দাবি জানিয়ে পথসভা বিক্ষোভ থেকে শুরু করে অবরোধ সবই চলে জেলায়।
ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি লকেট চ্যাটার্জি জেলায় এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে জাতি আয়োগের কড়া নির্দেশের পরে পুলিশ তৎপর হয়ে ওই মামলায় এসসি.এসটি ধারা যুক্ত করে দুই দফায় তদন্তকারি অফিসার সঞ্জয় মুখার্জি এবং সুকুমার মিশ্রকে সরিয়ে ওই তদন্তের দায়িত্ব দেয় ডিএসপি (ডিইবি) বিনোদ ছেত্রীকে। যার পরে এবার ওই মামলায় প্রশাসনের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে জেলায় আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।