আপের ভরা বাজারেও শাহিনবাগকে সমর্থন করেই কি পিছিয়ে গেলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া!!!

আমাদের ভারত,১১ ফেব্রুয়ারি: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল যেমন ছিল ভোটের ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতা সেই দিকেই এগোচ্ছে দিল্লি নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে। কিন্তু কেজরিওয়াল সহ দলের অধিকাংশ নেতা এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে পড়েছেন আম আদমি পার্টির বেশ কয়েকজন স্টার প্রার্থী। তাদের মধ্যে অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। শাহিনবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করতে গিয়েই কি হঁচোট খেতে হল আপের এই স্টার প্রার্থীদের ?এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে।

দিল্লির পড়পটগঞ্জের আপ প্রার্থী সিসোদিয়া তার নিকটতম প্রার্থী থেকে প্রায় দেড় হাজারের ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পিছিয়ে রয়েছেন আপের অন্য আরেক স্টার প্রার্থী আতিশী মার্লেন। তবে তার ক্ষেত্রে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পঞ্চম রাউন্ডে পিছিয়ে রয়েছেন সিসোদিয়া। কিন্তু আপের এই ভরা বাজারেও সিসোদিয়ার পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে শাহিনবাগের আন্দোলনকে খোলাখুলি সমর্থন করাকেই দায়ী করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশের বিশেষজ্ঞরা। কারণ ট্রেন্ড অনুযায়ী আপ ক্ষমতায় এলেও তাদের আসন কমছে,আর আসন বাড়ছে বিজেপির। অর্থাৎ মেরুকরণের রাজনীতিতে কিছুটা হলেও সফল বিজেপি।

টানা দুই মাস ধরে চলছে শাহিনবাগের আন্দোলন। তার জন্য সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাই শাহিনবাগের ধারে কাছে যাননি। কিন্তু সিসোদিয়া সরাসরি আন্দোলনকে সমর্থন করে বসেছেন। শাহিনবাগের আন্দোলন সম্পর্কে সিসোদিয়া বলেছেন, “এই আন্দোলনের পাশে রয়েছি। আন্দোলনরত এইসব মানুষের সমস্যার কথার বোঝার চেষ্টা করে নি কেন্দ্র। তাদের কি অভিযোগ তা জানার জন্য তাদের কাছে যায়নি কেন্দ্রের কোন মন্ত্রী বা প্রতিনিধি। ”

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে এই মন্তব্যের পর থেকে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে খোলাখুলি শাহিনবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করছে আম আদমি পার্টি। কেজরিওয়াল সরাসরি না বললেও সিসোদিয়াকে দিয়ে শাহিনবাগের আন্দোলনকে সমর্থনের কথা বলেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই আন্দোলনকে সমর্থনের কারণেই একশ্রেণীর মানুষ আপের প্রতি যথেষ্ট ক্ষুব্দ। সম্ভবত তারই প্রতিফলন ঘটতে চলেছে ভোটের ফলাফলে।

শেষ পর্যন্ত যদি টেনে-হিঁচড়ে সিসোদিয়া জিতেও যান, তার মার্জিন খুব একটা বড় হবে না তা বলাই বাহুল্য। ফলে ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করার সময় যদি আম আদমি পার্টি এই বিষয়টিকে নজর না দেন তাহলে পদ্মবনে আগামী দিনে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে ঝাড়ুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *