আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২১ জানুয়ারি: কুড়ি বছরের বেশি সময় কাটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের খারাপ থেকে ভাল, সব কিছুই সামনে থেকে দেখেছেন বলে উল্লেখ করে একের পর আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ বৃহস্পতিবার কেশপুর এলাকার আনন্দপুরে বিজেপির জনসভায় তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল সোজাপথে ভোটের লড়াই করেনি। ঘাটাল আসন থেকে কীভাবে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে পরাজিত করা হয়েছে সেই তথ্যও তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কেশপুরে তৃণমূল জিতেছে একলক্ষ আট হাজার ভোটে। এই ভোট লুট না হলে ভারতী ঘোষ জিততেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পুলিশ যাদের সঙ্গে কেশপুর তাদের সঙ্গে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় বিডিও অফিস ঘেরাও করে রেখে কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম নিশানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিনের সভা থেকেও কয়লা চোর, বালি চোর, গরু পাচারকারী ভাইপো বলে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। এর আগে ডায়মন্ড হারবারের ফলাফল নিয়ে তিনি বলেছিলেন, সাড়ে সতেরশো বুথের মধ্যে চোদ্দশো বুথে লিড নেই। কিন্তু সাড়ে তিনশো বুথেই সাড়ে তিনলক্ষ লিড। বামেদের তরফ থেকেও অবশ্য একই অভিযোগ আগেই তোলা হয়েছিল। ঝাড়গ্রামই হোক কিংবা পুরুলিয়া, যেখানেই শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছেন, সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, ২০১৮-তে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু রাতের অন্ধকারে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে জোর করে জিতে যায় তৃণমূল কংগ্রেস।