জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ২৭ নভেম্বর: যা হওয়ার তাই হলl ২৭ নভেম্বরের মধ্যে তিনি রাজ্য সরকারের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন এ রকম জল্পনা অনেকদিন ধরেই চলছিল। বিজেপির অন্দরমহলে সেই ধারণাই সত্যি করে শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এবং রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীl
এ মাসের গোড়ার দিকে নন্দীগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ১৭ নভেম্বরের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ছেন এবং যদি তিনি বিজেপিতে আসেন তা ধরে নিয়ে বিজেপি তার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশের একটি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেl কয়েকদিন আগে রামনগরের সভায় যখন শুভেন্দু বলেন, আমি এখনো মন্ত্রী আছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তাড়িয়ে দেননি তিনি ও ছেড়ে যাননি , তখন অনেকেই ভেবেছিলেন শুভেন্দু তৃণমূলেই রয়ে গেলেন। কিন্তু বিদগ্ধ রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয় স্নায়ুর লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে দলত্যাগ প্রলম্বিত করছেন তিনি।
তিনি সেদিন বলেছিলেন পদে থেকে অনেক কিছুই বলা যায় না। এর মাঝখানে তিনি বলতে চাইছিলেন যা বলার অবশ্যই বলবো তবে পদত্যাগ করার পর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাংগঠনিক সভাপতি নবারুণ চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাস এবং ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় সৎপথি জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী কোনো অবস্থাতেই তৃণমূলের মধ্যে টিকে থাকার মত পরিস্থিতিতে ছিলেন নাl তার এই দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিতই ছিলl
এ বিষয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন দল ভাঙিয়ে তৈরি হওয়া তৃণমূলের অন্তর্জলী যাত্রা এবার শুরু হলো শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেl তিনি বলেন, শুধু শুভেন্দু নয় তার পথ ধরে তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন একাধিক বিধায়ক, সাংসদ এবং মন্ত্রীl