গোপাল রায়, আমাদের ভারত, আরামবাগ, ২৯ জুন:
ভোট গণনার পর থেকে খানাকুলের বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হয় দিকে দিকে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এবং বিজেপি কার্যকর্তাদের মনোবল চাঙ্গা করতে শনিবার দুপুরে খানাকুলে এলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন খানাকুলের চব্বিশপুর, পলাশপাইয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করেন তিনি। খানাকুলের সাতটি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কর্মীদের সাথে কথাও বলেন। এছাড়াও খানাকুলের নতিবপুর, চব্বিশপুর, হরিসচক, রামচন্দ্রপুর সহ বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন বিরোধী দলনেতা। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ ছাড়াও আরও অন্যান্যরা।
এদিন খানাকুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ড্যামি প্রার্থী নির্বাচনে ভুল ছিল, তবে তা ইচ্ছাকৃত নয়, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোবো। আমাদের লড়াই চোর তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালি করার হুমকি দিলে মহিলাদের বাঁচাতে শাঁখ বাজাতে পরামর্শ দিলেন বিরোধী নেতা। এমনকি পাল্টা মারের হুঁশিয়ারিও দিলেন মহিলাদের।
এদিন তিনি বলেন, কোচবিহারে আমাদের পঞ্চায়েতগুলির কয়েকটা পঞ্চায়েতকে জোর করে জয়েন্ট করিয়েছে। ওদের টার্গেট হচ্ছে পঞ্চায়েতগুলোকে দখল করা। কারণ তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে চুরি করে খায়। ১১টি পঞ্চায়েতকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। যেন কেউ পঞ্চায়েতে না যায়। মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আর বিজেপি করলে তৃণমূলের লোকেরা ছেলেমেয়েদের বলছে তোর বাবা ও মাকে দেখে নেব, বা তুলে নিয়ে আসব। এ ধরনের হুমকি ব্যাপকভাবে চলছে। কিছু কিছু বিজেপি সমর্থকদের রান্নাঘরে আট জন, নয় জন ঢুকে খাবার তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে, এ ধরনের বর্বরতা অত্যন্ত নিম্ন রুচির। আমি খানাকুলে আমার বক্তব্য রাখতে আসিনি, আমি তাদের কথা শুনলাম তাদেরকে আশ্বস্ত করলাম যে বিরোধী নেতা তাদের পাশে আছে। পুলিশি নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ তুলে আগামী সপ্তাহে খানাকুল থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।