আমাদের ভারত, ১৬ জানুয়ারি: শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি শাহী ইদগাহ মসজিদ মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতের বড় সিদ্ধান্ত। আদালত জানিয়েছে, মসজিদ চত্বরে আপাতত কোনো বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো যাবে না। মসজিদ পরিদর্শনের জন্য স্থানীয় একজন কমিশনার নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট, সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষা চালানো হবে, আর এই সমীক্ষা পরিদর্শনের জন্য একজন স্থানীয় পরিদর্শক নিযুক্ত করা হবে। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় এটাই ছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। মথুরার এই মামলাটি নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আপাতত বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা যাবে না। মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদে স্থানীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যে পিটিশন দায়ের হয়েছিল সেটা স্পষ্ট নয়। আদালত দায়িত্ব নিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে, সাধারণ মানুষের এমনটা ভাবা মোটেই উচিত নয়।
যদিও জ্ঞানব্যাপী মসজিদে কিন্তু বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় সায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু শাহী ইদগাহের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া যায়নি।
হিন্দুদের বিশ্বাস, এই জায়গাটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। ওই মন্দির চত্বরেই রয়েছে শাহী ইদগাহ মসজিদ। ইতিহাসবিদের একাংশের মতে প্রাচীন কেশবনাথ মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ তৈরি করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। ১৯৩৫ সালে মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই স্বত্ব বর্তায় শ্রীজন্মভূমি ট্রাস্টের হাতে। এরপরই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। হিন্দুদের দাবি, মসজিদের ভেতর পদ্ম আকৃতির স্তম্ভ ও শেষনাগের মূর্তি রয়েছে, যা থেকে প্রমাণ হয় ওটা আসলে মন্দির ছিল। তাই হিন্দু নিদর্শন মসজিদে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি ওঠে। তারপর থেকে দীর্ঘদিন আদালতে এই মামলা চলছে।