পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে সীতারাম মন্দির স্থাপন, সমন্বয় কর্মসূচির ডাক হিন্দু মহাসভার

আমাদের ভারত, পুরুলিয়া, ১৬ জানুয়ারি: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে সীতারাম মন্দির স্থাপনের জন্য নবান্ন এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলের রাজ্য অফিসে বুধবার হিন্দু মহাসভা সমন্বয় কর্মসূচির ডাক দিল।

অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, “রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সারা দেশ যখন উত্তাল তখন পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া অঞ্চলের অযোধ্যা পাহাড়ের ওপর সীতারাম মন্দির স্থাপন করার ডাক দিয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।

অযোধ্যা যদি প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থান হয় তাহলে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় তাঁর কর্মভূমির একটি অংশ। অযোধ্যা থেকে কিস্কিন্ধা যাওয়ার সময় তৃষ্ণার্ত সীতা দেবীকে জল দেওয়ার জন্য রামচন্দ্র তীর নিক্ষেপ করে যে জলাশয়ের সৃষ্টি করেন সেটিই সীতাকুন্ড নামে পরিচিত। হিন্দু মহাসভার কাছে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে সনাতনী হিন্দুদের আবেগ রাম মন্দিরের পুনঃনির্মাণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে মাত্র কয়েক হাজার মানুষ যারা সরকার ঘনিষ্ঠ বা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব তাদেরই শুধু ডাকা হয়েছে, অথচ সাধারণ মানুষ এই অনুষ্ঠানে থেকে যাবেন ব্রাত্য।

আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব লালকৃষ্ণ আডবাণীজি, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতীদের যথোপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। রামমন্দির আন্দোলনের মূল আবেদনকারী এবং রায় গ্রহিতাদের (ভার্ডিকট হোল্ডার) সংগঠন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাকেও ডাকাও হয়নি। হিন্দু মহাসভার নাম যাতে কোনও ভাবেই জনসমক্ষে না আসে তার জন্য তাকে হিন্দু পক্ষ বলে নামটি আড়াল করার চেষ্টা চলছে।

প্রভু রামের মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠাতে হিন্দু মহাসভা অত্যন্ত খুশি, কিন্তু একথাও সত্য হিন্দু মহাসভা কোনো ভাবেই চায় না রামমন্দির আন্দোলনকে ভোট রাজনীতির স্বার্থে কেউ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করুক। রামমন্দির এই বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধেই অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা ওই ২২ জানুয়ারি তারিখেই পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় অঞ্চলে সীতা কুণ্ডের পবিত্র জল নিয়ে ওই স্থানে সীতারাম মন্দির স্থাপন করার জন্য সংকল্প পূজার আয়োজন করতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, হিন্দু মহাসভা দেবী সীতা এবং প্রভু রামকে এক সাথে রেখেই সীতারাম মন্দির স্থাপন করতে চায়। সীতাদেবীকে বাদ দিয়ে শুধু রামমন্দির স্থাপনে তারা পক্ষপাতী নয়। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি এবং রাজ্যপালকে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে ১৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে লিখিত আবেদনপত্র দিতে চলেছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *