আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৩ জানুয়ারি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হল শিশির অধিকারীকে। গতকাল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছিল শিশিরবাবুকে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে এই ধরনের ঘটনা যে ঘটবে তা সহজেই অনুমেয় ছিল। এরপর কবে শিশিরবাবু তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেন সেটাই এখন জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গতকাল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিশির অধিকারীকে। সেই জায়গায় চেয়ারম্যান করা হয়েছে অধিকারী পরিবারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অখিল
গিরি’কে। আজ আবার পুরোন্দপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
শিশির অধিকারী অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই পায়ের সমস্যার কারণে গৃহবন্দি ছিলেন। তার ওপর গতকাল তার চোখের অপারেশন হয়েছে। একদিকে বয়সের ভারে তারপরে শারীরিক অসুস্থতা দুই মিলিয়ে একেবারেই কাবু হয়ে পড়েছিলেন শিশির অধিকারী। সম্প্রতি তিনি কোথাও বের হননি। কোনও দলীয় মিটিং মিছিল কোথাও তাঁকে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদানের পর এই অধিকারী পরিবারের ছোট পুত্র সৌমেন্দু অধিকারীকে পৌরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরানো হয়। এরপরে কোপ পড়ল শিশিরবাবুর উপরে। শিশির অধিকারী অবশ্য এখনও কাঁথির সাংসদ পদে বহাল আছেন।
পদ থেকে অপসারণের পরে অবশ্য শিশির অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বা এই ব্যাপারে তার কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। দলের এই সিদ্ধান্তের পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে অন্যও দলে যোগদান করেন নাকি রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেন সেটাই এখন আলোচনার বিষয় রাজনৈতিক মহলে।