আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১২ এপ্রিল: প্রচারে বেরিয়ে তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়কে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকেই শুনতে হচ্ছে না পাওয়ার অভিযোগ। তৃণমূল সাংসদের ব্যর্থতার অভিযোগ শুনতে হচ্ছে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকেও।
এনিয়ে শতাব্দীর ক্ষোভ, অভিযোগের খবর সংবাদ মাধ্যমে বড় করে দেখানো হলেও উন্নয়নের ছবি দেখানো হচ্ছে না। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৯ সালে প্রথম বীরভূম লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায়। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও একই লোকসভা থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে জয়ী হন শতাব্দী। কিন্তু না পাওয়ার অভিযোগ পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল প্রার্থীকে। গ্রামাঞ্চলে প্রচারে বেরিয়ে রাস্তা, পানীয় জল, ১০০ দিনের মজুরি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি সহ একাধিক না পাওয়ার অভিযোগ শুনতে হচ্ছে শতাব্দী রায়কে। সংবাদমাধ্যম সেই ছবি ক্যামেরা বন্দি করলেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন শতাব্দী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ভালো কাজ আপনারা দেখতে পান না। কে একটা সামান্য অভিযোগ করল সেটাকেই বড় করে দেখাচ্ছেন”।
শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বনহাট অঞ্চলে একই ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শতাব্দীকে। রদিপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপাল রায় বলেন, “গ্রামে পানীয় জলের খুব অভাব। এক কিলোমিটার দূর থেকে পানীয় জল আনতে হয়। একবার গ্রামে গিয়ে দেখে আসুন”। তাঁকে সমর্থন করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ মেটাতে মাঠে নামেন বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। ভোটের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার মেলেনি। ভোটের পর জলের সমস্যা মিটে যাবে”।
ক্ষোভের মধ্যেই শতাব্দী রায় নিজস্ব ক্যামেরাম্যানকে গ্রামবাসীদের ভালো ভালো কথা রেকর্ডিং করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “আপনারা যেটুকু বলছেন সেটাকে মিডিয়া বিক্ষোভ হিসাবে দেখাচ্ছে। ১০টা কাজের মধ্যে একটা কেউ অনুরোধ করলে সেটাকেই বিক্ষোভ হিসাবে দেখানো হচ্ছে। বাকি ৯টা দেখাচ্ছে না। এতে আমাদের বদনাম হচ্ছে। আমাকে পাগল করার চেষ্টা করছে। এবার আমি আমার ফেসবুকে ছেড়ে দেখাবো মিডিয়া কতটা দেখাচ্ছে, আর কতটা দেখাচ্ছে না।”
শতাব্দী রায় মানুষের ক্ষোভের কথা তুলে ধরার জন্য মিডিয়াকে দোষারোপ করলেও একই অভিযোগ শুনতে হচ্ছে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকেও। দুবরাজপুর বিধানসভার পণ্ডিতপুর গ্রামে গিয়ে না পাওয়ার অভিযোগ শুনতে হয় দেবাশিসবাবুকে। গ্রামবাসীদের দেবাশিসবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু এই সরকার মানুষকে বঞ্চিত করে চলছেন। তিনি বলেন, এই সমস্ত মানুষদের অভিযোগ শুনে সাংসদের পদত্যাগ করা উচিত ছিল। এই সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রেও দল দেখে কাজ করছে। এতো লজ্জার! আমরা ক্ষমতায় এলে এই সমস্ত মানুষদের পাশে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা পৌঁছে দেব। সেক্ষেত্রে আমরা কে কোন দল করে দেখবো না। প্রকৃত প্রাপকের হাতেই পৌঁছে দেব বিভিন্ন প্রকল্প।”
ঐ মিটিং এ আমি উপস্থিত ছিলাম কেবলমাত্র গ্রামবাসীরা বলেছে
সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে কিন্তু মাটির তলার জল খারাপ খাওয়ার অযোগ্য তাই বাইরে থেকে কোথাও পাম্প বসিয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেছে ll