সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২১ ডিসেম্বর: পৌরসভা নির্বাচনের জন্য আসন সংরক্ষণের খসড়ায় কোপে পড়েছেন পুরুলিয়ার ৭ জন শাসক দলের কাউন্সিলার। সেই তালিকায় রয়েছেন চেয়ারম্যান শামিম দাদ খান। সংরক্ষণের গেরোয় পড়ে যখন অনেকেই প্রতিবাদ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন স্রেফ দলের সিদ্ধান্তের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হচ্ছেন পুরুলিয়া জেলার অন্যতম অভিজ্ঞ রাজনীতিক পুরুলিয়া পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান।
সদ্য প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী তাঁর ২২ নম্বর ওয়ার্ড এখন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। কাজেই সেই ওয়ার্ডে তিনি দাঁড়াতে পারছেন না। এই বিষয়ে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে তিনি জানান, ‘পূর্ণ সময়ের জন্য না হলেও দল এই পদে বসিয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিল। পুরুলিয়া শহরবাসীর নানা সমস্যা এবং সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা করে দিতে সক্ষম হয়েছি। শহরের সব চেয়ে জরুরি বাড়িতে বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ করতে পেরেছি। পুরবোর্ডের সব সদস্য ও সদস্যার পূর্ণ সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। এটা এই বোর্ডের সব চেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করছি। আসন্ন নির্বাচনে দল আমাকে যে ভাবে চাইবে সেই ভাবে দায়িত্ব পালন করতে চাই।’
২০১৭ সালের ১১ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান কামাখ্যা প্রসাদ সিং দেও মারা যাওয়ার পর ওই মাসের ২০ তারিখ সর্বসম্মতিক্রমে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ শামিম দাদ চেয়ারম্যান হন। তার আগে অবশ্য তিনি ৬ বার কাউন্সিলার ও ২ বার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান। তিনটি দল থেকে এই নজির গড়েছেন পুর আইন গুলে খাওয়া পোড় খাওয়া শামিম দাদ খান।পুরুলিয়া শহরে বিজেপির একটা জোর হাওয়া রয়েছে।সেই হাওয়া সামাল দিতে কী শামিম দাদ খানকে ফের প্রার্থী করতে চাইবে তৃণমূল? না কি তিনিই তুরুপের তাস হবেন ঘাস ফুলের? রাজনীতি প্রিয় পুরুলিয়াবাসীর প্রশ্নের উত্তর অজানা এখন।