আমাদের ভারত, সিউড়ি, ২৫ জানুয়ারি: ফের তৃণমূল কর্মীদের গুলি মারার নিদান দিলেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি। তাতে কাজ না দিলে চিরতরে গুলির নিদান দিলেন প্রকাশ্যে। যাকে ঘিরে ফের আলোড়ন পড়ল বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে। হুমকির ঘটনা ঘটে সাঁইথিয়া মুরাডিহি কোলোনীর কাছে। যদিও তৃণমূলের তরফে সন্ধ্যে পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসছি।
জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানান, অভিযোগ পেলে মামলা করা হবে।
শনিবার ছিল সাঁইথিয়া শহরে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। এনআরসির সমর্থনে বিশাল মিছিল বের করেছিল বিজেপি। অভিনন্দন যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। যাত্রা শুরু হয় শহরের ইউনিয়ন বোর্ডের মোড় থেকে। শেষে মুরাডিহি কোলোনীতে একটি পথসভা করে বিজেপি। সেখানেই তৃণমূলের নাম করে হুমকি দেন জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। তিনি বলেন, এলাকায় বুনো হাতি ঢুকে ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর করলে বনদফতরে খবর দিতে হয়। তারা এসে ঘুমপাড়ানি গুলি মারে। তাতে কাজ না হলে গুলি মেরে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। সেই রকম কেউ সাঁইথিয়ায় বিজেপি কার্যকর্তাদের ঘর ভাঙ্গতে এলে প্রথমে ঘুমপাড়ানি। না কাজ করলে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দিন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাসে বিজেপির বেশ কিছু নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সম্ভবত তাদের উদ্দেশ্যেই এমন কথা বলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, দরকারে আমি তাদের নাম বলে দেব। তারা প্রথমে কংগ্রেস,পরে সুযোগ বুঝে তৃণমূল। তারা বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিজেপিতে ফের আসবে বলে শ্যামাপদবাবু দাবি করেন। উল্লেখ্য, সাঁইথিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু রায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে ফের তিনি তৃণমূলে ফিরে যান। সঙ্গে নিয়ে যান বেশ কিছু বিজেপি নেতাকে। তাই শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, তৃণমূল যদি রাজনৈতিক ব্যবহার করে, আমরা তার দ্বিগুন সন্মান দেখাব। চা খাওয়ালে কফি। রসগোল্লা দিলে রাজভোগ দেব। কিন্তু দলের কর্মীদের ওপর আক্রমন করলে তাদের চার চড় মারুন। বিজেপি আর আগের জায়গায় নেই। এখন মারতে এলে মার খেতে হবে। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়া শহরে বিজেপি ভাল সমর্থন পেয়েছে। ফের সামনেই পুরভোট। তাই একদিকে হুমকি দিয়ে তৃণমূলকে পালটা চ্যালেঞ্জ সঙ্গে ঘড়ের ভাঙন রোধ করতে চাইলেন।
তৃণমূলের বিদায়ী পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত বলেন, এটাই সাঁইথিয়ার চরিত্র। লোকসভাতে বিজেপিকে দিলেও পুরভোটে সব ওয়ার্ডে তারা তৃণমূলকে জয়ী করবে। হেরে যাওয়ার ভয় থেকেই সম্ভবত কু -কথা বলে উনি বাজার গরম করতে চাইছেন।