মাধ্যমিক পরীক্ষার ফিস ১৮০ টাকার বদলে ৫০০ টাকা নিচ্ছে ইসলামপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ, প্রতিবাদে আন্দোলন এসএফআই’য়ের

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, ১১ জানুয়ারি: মাধ্যমিকের ফিস ১৮০ টাকার বদলে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। করোনা আবহে বিপাকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। পরীক্ষার ফিস কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নামল ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বর্ধিত ফিস নেওয়ার প্রতিবাদে এসএফআই’য়ের আন্দোলনের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর হাইস্কুলে। স্কুলে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা চেয়ার বেঞ্চ ভেঙে ফেলায় তা মেরামত ও নতুন বেঞ্চ নির্মাণ করার জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বর্ধিত টাকা নেওয়া হচ্ছে। যদি কোনও ছাত্র বর্ধিত টাকা না দিতে চায় তাহলে আবেদন করা হলে পরবর্তীতে তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।

করোনা আবহে লকডাউনের সময়ে ভিনরাজ্য থেকে আসা বহু পরিযায়ী শ্রমিকদের আইসোলেশনে রাখার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছিল ইসলামপুর হাইস্কুলেকে। স্কুলে থাকাকালীন স্কুলের প্রায় সমস্ত বেঞ্চ ও চেয়ার ভেঙ্গে ফেলে তারা৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্কুলের বেঞ্চগুলি। এরমধ্যেই খুলবে স্কুল এবং শুরু হবে ক্লাস। স্কুলের বেঞ্চ মেরামত ও নতুন বেঞ্চ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা তোলা হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ফিলাপের সরকারিভাবে ১৮০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও ইসলামপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিটি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। প্রত্যেক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩২০ টাকা করে বেশি নেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে স্কুলের ছাত্র সহ এসএফআইয়ের ইসলামপুর শহর কমিটি।

এসএফআই’য়ের ইসলামপুর কমিটির সহ সভাপতি সুদীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এভাবে বাড়তি টাকা নিতে পারে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের অবস্থা সংকটাপন্ন। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা না নেওয়ার দাবিতে স্কুলের প্রধানশিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা। যতক্ষন না এই টাকা ফেরত দেওয়া এবং ফর্ম ফিলাপের সময়সীমা বাড়ানো হবে ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। এসএফআইয়ের এই আন্দোলনকে ঘিরে ইসলামপুর হাইস্কুলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র ও এসএফআইয়ের আন্দলোন যথাযথ বলে জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষার ফিস নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিবেচনা করা উচিত। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সলিমুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা স্কুলে বসবাস করার সময় স্কুলের বেঞ্চ চেয়ার ভেঙ্গে ফেলায় স্কুল কর্তৃপক্ষ বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফর্ম ফিলাপের সময় বাড়তি ৩২০ টাকা সহ মোট ৫০০ টাকা নেওয়া হবে। যদি কোনও ছাত্র আবেদন করে তাহলে বাড়তি নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ফর্ম ফিলাপের সময়সীমাও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *