আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৯ জুন: বেহাল পৌর সভার একাধিক রাস্তা, সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তাগুলি সারানোর আবেদন জানিয়েও ফল না মেলায় রাস্তায় বসে প্রতীকি অনশন শুরু করলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কাজ না হলে কংগ্রেসের ফান্ডে রাস্তা সরানোর ব্যবস্থা করা চেষ্টা হবে বলে দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের।
তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে রাজ্যজুড়ে সর্বত্র উন্নয়নের কর্মকান্ড চলছে বলে সব সময় দাবি করেন রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা। তাদের মত রাজ্যের সমস্ত পৌর এলাকাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে, উন্নত হয়েছে সমস্ত পৌর পরিষেবা। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সত্য তা একটু ঘুরে দেখেছি আমরা। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অন্তর্গত নোয়াপাড়া বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভা হলো উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভা। এই পৌরসভাতে রয়েছে বিখ্যাত ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি, ইছাপুর মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরি। এতো গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরি থাকা সত্বেও এই পৌর এলাকার একাধিক রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।
এলাকার বিরোধীদের দাবি, এই পৌরসভার নবাবগঞ্জ, দেবতলা, মাঝেরপাড়া, রামচন্দ্র পথ, মণিরামপুর সহ একাধিক পৌর এলাকার রাস্তা ভেঙ্গেচুরে খানাখন্দে ভরে গেছে। তাদের অভিযোগ, রাস্তাগুলি দ্রুত না সরানো হলে সামনের বর্ষায় এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে। সেই সঙ্গে এই রাস্তাগুলি বেহাল হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এলাকার ছোট ব্যবসায়ী থেকে অটো, রিক্সা ও টোটো চালকদেরও ঘনঘন গাড়ি খারাপ হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই সমস্ত সমস্যা কথা জানিয়ে তা দ্রুত সমাধান করার দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রধানকে ডেপুটেশন দিয়েছে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু কোনো ফল না হওয়ায় এবার স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব ২২ ঘণ্টার প্রতীকি অনশনে বসেন। এদিন উত্তর ব্যারাকপুর কংগ্রেস কমিটির নেতারা বলেন, শুধু রাস্তা বেহাল হয়েছে এমনটা নয়, এই পৌরসভার একাধিক পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু কংগ্রেস পৌর সভায় আসন না পেলেও মানুষের জন্য তারা বারবার রাস্তায় নামছেন। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ সেটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে না। পৌর প্রধান তাদের দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ শুরু হয়নি বলে দাবি কংগ্রেস নেতাদের। তাই আগামীতে প্রয়োজন হলে কংগ্রেসের ফান্ড থেকেই রাস্তা সরানোর একটা উদ্যোগ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করবে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।
তবে এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রধান মলয় ঘোষ। তাঁর পাল্টা দাবি, সারা বছর পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় কাজ চলতেই থাকে, তবে কিছু রাস্তা রাইফেল ফ্যাক্টরির অন্তর্গত হওয়ায় সেখানে পৌরসভা কাজ করতে পারছে না।