আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৯ জানুয়ারি: বালুরঘাটে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা প্যাথলজিক্যাল ল্যাব বন্ধে মাঠে নামল জেলা প্রশাসন। সিল করা হল তিনটি ল্যাব ও পলিক্লিনিক। ভয়ে দোকান ফেলেই পালালো অসাধু কারবারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে অচমকা হানা দিয়ে বালুরঘাট শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় একটি প্যাথলিজিক্যাল ল্যাব ও দুটি পলিক্লিনিক সিল করে দেয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে বেশকিছু ক্লিনিকে। একই সাথে অবৈধভাবে প্রাইভেট প্রাক্টিস করতে বসা বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও এদিন চেম্বার ছেড়ে ছুট দিয়েছেন। এদিনের এই অভিযানে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক নিখিল নির্মল ছাড়াও মহকুমা শাসক বিশ্বরঞ্জন মুখার্জি, অতিরিক্ত জেলা শাসক (এলআর) প্রণব ঘোষ, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা এদিন অভিযানে নামেন। যেসব প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ও পলিক্লিনিকের কোনও লাইন্সেস নেই দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে নোটিস লাগিয়ে সিল করে দেবার নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা শাসকের তরফে।
প্রশাসনের তরফে একাধিকবার অভিযান চালানো হলেও স্বাস্থ্য দপ্তরের একাংশ আধিকারিকের যোগসাজসে ফের বেআইনি ল্যাবগুলি মাথা চারা দিয়ে ওঠে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় জড়িত রয়েছেন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের একাংশ চিকিৎসক বলেও অভিযোগ করেছেন মোহন সরকার নামে এক বাসিন্দা । তবে জেলা শাসকের দাবি প্রতরণা রুখতে এবং রোগীদের হয়রানি বন্ধে লাগাতার জেলা জুড়ে এই অভিযান চালানো হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক নিখিল নির্মল বলেন, আমাদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে পলিক্লিনিক ও প্যাথলকিক্যাল ল্যাব গুলির বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীরা রোগীদের ক্রমশ হয়রানি করে চলেছে। যার বিরুদ্ধে এই অভিযান।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, হাসপাতালে ও ট্যাংক মোড়ে বেশ কিছু ল্যাব রয়েছে যেই গুলি বে-আইনি ভাবে চলছে। চিকিৎসকদের আমরা এই নিয়ে সচেতন করব যাতে তারা বিষয়গুলি নিয়ে সজাগ হয়।