নয়া কৃষি আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, বাস্তব পরিস্থিতির সত্যতা জানতে বিশেষজ্ঞদের কমিটি গঠন

আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি:নয়া তিন কৃষি আইন নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে আজ কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে কৃষি আইনের পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। এই কমিটি কৃষি আইনের বিভিন্ন দিক তথা বাস্তব পরিস্থিতির সত্যতা খতিয়ে দেখবে ও তার রিপোর্ট আকারে শীর্ষ আদালতের কাছে জমা দেবে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই কমিটি আদালত গঠন করে দিয়েছে।

আদালতের গড়া এই কমিটিতে থাকবেন কৃষি অর্থনীতিবীদ অশোক গুলাতি, হরসিমরত মান,প্রমোদ যোশী। সুপ্রিম কোর্ট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের গড়ে দেওয়া এই কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু কৃষকরা এতে নারাজ। আজ প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “আইন বাতিল করে দেওয়াটা একটা বিকল্প হতে পারে। কিন্তু বিনা কারণে আইন বাতিল করা যায় না। সেই কারণেই একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটি আমাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। যারা এই সমস্যা সমাধানে আগ্রহী তারা সকলেই এই কমিটির মুখোমুখি হবেন। কমেটি তো কাউকে শাস্তি দেবে না। আমাদের কৃষক সংগঠনগুলির সম্মিলিত মত চাই। আইনজীবীদের মাধ্যমে কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরুন”।

আদালত আরো বলেছে বাস্তব পরিস্থিতির সত্যতা খতিয়ে দেখার জন্যই এই কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটি কোন নির্দেশ দেবে না। এই কমিটি শুধুমাত্র আদালতকে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবে। শীর্ষ আদালতের এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এডভোকেট জেনারেল। তিনি বলেছেন, কমিটি গঠন একটা ভালো প্রস্তাব। সরকার এর বিরোধিতা করবে না। কিন্তু কৃষকরা এটা মানতে নারাজ। তারা আগেই জানিয়েছিলেন কোন কমিটির মুখোমুখি তারা হতে চান না। আইন প্রত্যাহার একমাত্র তাদের দাবি।

এক্ষেত্রে কৃষকদের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের বার্তা, সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই। এটা রাজনীতি নয়। আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। কৃষকদের এই বিক্ষোভের প্রবীণ, মহিলা ও শিশুদের যুক্ত না করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে কৃষকদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য রামলীলা ময়দানছর মতো কোন জায়গাকে বাছাই করার কথা বলেছে আদালত। তার জন্য কৃষকদের দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে দরখাস্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। তবে আদালত এটাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যতদিন না পর্যন্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে ততদিন আইন কার্যকর করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *