মিলন খামারিয়া, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৫ আগস্ট: রবিবার একটি গভীর আধ্যাত্মিক ও আবেগময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করল ‘সংস্কার ভারতী’র পশ্চিমবঙ্গের, দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের হাওড়া নগর শাখা। তারা ‘বোনের জন্য সন্ধ্যা প্রদীপ’ নামে একটি হৃদয়স্পর্শী শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে হাওড়ার শিবপুরের মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ডে। এই অনুষ্ঠান, যা ছিল পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে পূর্ণ। মা যশোদার গর্ভে মানবরূপে জন্ম নেওয়া ‘যোগমায়া’র ঐশ্বরিক জন্মকে সম্মান জানাতে আয়োজিত হয়েছিল; যিনি শ্রীকৃষ্ণের ‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন’-এর মহৎ লীলায় সহায়ক হয়েছিলেন।
এই প্রতিবাদ সভাটি আরজিকর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতিতে উৎসর্গ করা হয়, যেখানে এক প্রিয় বোন, এক নিবেদিত প্রাণ ডাক্তার, নির্মম ঘটনার শিকার হয়ে তার জীবন হারান। শঙ্খধ্বনি দিয়ে প্রতিবাদ সভাটি শুরু হয়, যা ঐতিহ্যবাহীভাবে ঈশ্বরের উপস্থিতি ও সুরক্ষার আহ্বান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শাখার সকল সদস্য একত্রিত হয়ে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন এবং সেই বিদেহী আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেন। এই নীরবতা ছিল সম্মিলিত শোকের প্রতীক এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, যারা নিজের জীবনকে অন্যের সেবায় উৎসর্গ করেন। এই অনুষ্ঠানে ভাগবত গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করা হয়, যেখানে বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন হাওড়া নগর শাখার সভাপতি বাসন্তী ঘোষ, প্রদেশ সঙ্গীত প্রমুখ কুমারী তনুশ্রী মল্লিক এবং পর্যবেক্ষক শুভঙ্কর ভট্টাচার্য। তারা শোক, শক্তি এবং বিশ্বাসের অবিনশ্বর শক্তির উপর তাদের ভাবনা প্রকাশ করেন। শপথ বাক্য পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি চলতে থাকে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা করুণা, সেবা ও ন্যায় বিচারের মূল্যবোধ বজায় রাখার প্রতিজ্ঞা করেন।
সভাপতি বাসন্তী বলেন, “আমাদের রাজ্যে মেয়েদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আরজিকরের ডাক্তারের হত্যার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ভবাবহ। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পরিচালিত সরকার যদি মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে তার পদত্যাগ করা উচিত বলে আমি মনে করি। সঠিক বিচার চাই আমরা। দ্রুত দোষীদের শাস্তি না হলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবো।’