Sukanta, BJP, আর জি কর কান্ডে জামিনে মুক্ত সন্দীপ অভিজি, রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকেই দায়ী করলেন সুকান্ত

আমাদের ভারত, ১৩ ডিসেম্বর: আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শুক্রবারই জামিন পেয়েছেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। সিবিআই চার্জশিট জমা দিতে পারেনি বলেই তাদের জামিন হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য বিঁধতে ছাড়েননি পুলিশ প্রশাসনকে।

তিনি বলেন, দুটো মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটা মামলায় জামিন পেয়েছে, আরেকটা মামলায় জামিন পায়নি। খুন, ধর্ষণের মামলায় তারা জামিন পেয়েছে। সেই মামলা ৫ দিন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে ছিল। আমি প্রথম থেকেই বলেছি খুন ধর্ষণের মামলায় সিবিআই আদৌ কিছু খুঁজে পাবে কিনা সন্দেহ আছে। কারণ পাঁচ দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তান্ডব নৃত্য করেছে সেই জায়গায়, ফলে দুর্ঘটনাস্থলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া মুশকিল। গরু ছাগল যেভাবে চারণভূমিতে ঘুরে বেড়ায় সেভাবেই ঘটনাস্থলে সবাই ঘুরেছে, সংবাদ মাধ্যমের ভিডিওতেই আমরা সেটা দেখেছি। ডাক্তাররা এবং কলকাতা পুলিশের ডেজিগনেটেড ফরেনসিক এক্সপার্টরা ঘুরে বেড়িয়েছে সেখানে। বিভিন্ন আইনজীবী গেছেন। সেখানে সাধারণ মানুষও হয়তো ঘুরে বেড়িয়েছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গায় সব থেকে বেশি তথ্যপ্রমাণ থাকে। তদন্তকারী সংস্থা তথ্য সেখান থেকেই সংগ্রহ করে। সেই কারণেই সেই এলাকাটিকে করিডোর করে রাখতে হয়। কিন্তু যদি পাঁচ দিন ধরে সেখানে তান্ডব হয় তাহলে সেখান থেকে সিবিআই কিছুই খুঁজে পাবে না।

অন্যদিকে, এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। চিকিৎসক-নেতা অনিকেত বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত মানেই বিচার পেয়ে গেছি এমনটা নয়। আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ চাই। আপনারা ভেবে দেখুন কাদের সঙ্গে থাকবেন।’ 

এদিকে রাজ্য সরকারের হাতে থাকা দুটি ধর্ষণের মামলায় দু’ মাসের মধ্যে ফাঁসির সাজা হয়েছে। কিন্তু আর জি করে সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিটটুকুও জমা দিতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, একটু অপেক্ষা করুন। কামদুনি কান্ড ভুলে গেলে চলবে না। সেখানেও তো সাজা হয়েছিল ফাঁসির। তারপরে কি হলো? মুখ্যমন্ত্রী দেখানোর জন্য ওটা করে দেন। এই মামলাগুলো যাক ওপরের আদালতে তথ্য প্রমাণ সহ, তখন বুঝতে পারবেন কি হলো। ততদিনে মানুষ ভুলে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে খুব ভালোভাবে চেনেন। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সেই জন্য উনি যা খাওয়ানোর সেটাই পাবলিককে খাওয়াচ্ছেন। কামদুনি কান্ড নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। ধর্ষণ এবং খুন, জরাসন্ধের মতো দু-পা ছিঁড়ে মেয়েটিকে মেরে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন তার খুনিরা ছাড়া পেয়ে গেল উচ্চ আদালতে গিয়ে? তথ্য প্রমাণ ছিল না, বা তথ্যপ্রমাণ পুলিশ জোগাড় করেনি। ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সেখানেও বিনীত গোয়েল সাহেব ছিলেন। অপেক্ষা করুন অপরাধী যারা সাজা পেয়েছে তারা আবার হায়ার কোর্টে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *