কলকাতা, ৩ জানুয়ারি: বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা আদালত ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। দায়রা বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। এই আবহে কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে সনাতনী সাংসদ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে সরব হয়।
সংগঠনের অন্যতম সদস্যা ব্রিটিশ লেবার পার্টির কাউন্সিলর পুষ্পিতা গুপ্তা বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের অত্যাচারিত হিন্দুদের প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন নাগরিকদের নিয়ে আমরা একটি কমিটি গড়েছি। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির জন্য আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে যাব।’ তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার চক্রান্ত চলছে।
টরেন্টো থেকে আগত প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী অরুণ দত্ত বলেন, “সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হোক।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বেশ কিছু উপজেলা রয়েছে যা হিন্দু প্রধান। আমাদের দাবি, ওইসব উপজেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হোক হিন্দু আধিকারিকদের। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ওইসব হিন্দু প্রধান উপজেলাগুলি আক্রান্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।’ তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘ইউনুস দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার হাতে একটা রিমোট বাটন আছে। উনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, বাটন প্রেস করে উনি ৭১- এর মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চাইছেন।’ তিনি দাবি করেন, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের শান্তি বাহিনী মোতায়েন করা হোক। আর এই বিষয়ে ভারত সক্রিয় ভূমিকা নিক।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখেন নিউ ইয়র্ক থেকে আগত সীতাংশু গুহ, সুইডেন থেকে চিত্রা পাল প্রমুখ। সনাতনী সংসদের সাধারণ সম্পাদক রক্তিম দাস প্রারম্ভিক ভাষণ দেন।