Sujoy Hazra, TMC, মাতৃ শক্তির বন্দনা! বিধায়ক পদে শপথ সুজয় হাজরার

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর: উপনির্বাচনে ‘বিজয়ী’ বাংলার নবনির্বাচিত ৬ জন বিধায়ক ‘শপথ’ নিলেন সোমবার। রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকারের উপস্থিতিতে রাজ্য বিধানসভায় শপথ নিয়েছেন তাঁরা। বিধায়ক পদে শপথ নিয়েছেন মেদনীপুরের সুজয় হাজরা। শপথ নেওয়ার আগে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের কাছ থেকে ২-৩ মিনিট সময় চেয়ে নিয়ে, মাতৃশক্তির বন্দনা করেছেন তিনি। গর্ভধারিনী মায়ের সঙ্গে সঙ্গে, ‘বাংলার মা’ সম্বোধন করে প্রণাম জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সহ বিধানসভার সকল সদস্যকেই চমৎকৃত করে সুজয় বলেন, “আমি রাজ্যপাল মহাশয়ের কাছে ২ মিনিট সময় চেয়ে নিয়েছি, আমার দুই মাকে প্রণাম জানানোর জন্য। আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছি আমার গর্ভধারিণী মাকে প্রণাম জানিয়ে। যে মা আমাকে বড় করে তুলেছেন, হাঁটতে শিখিয়েছেন, মানুষ হতে শিখিয়েছেন, এই হাউস থেকে তাঁকে আরও একবার প্রণাম জানাই। আর প্রণাম জানাই তাঁকে, যাঁর জন্য আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি। প্রণাম জানাই বাংলার সেই মাকে, আমাদের প্রিয় ‘দিদি’, বাংলার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত সাড়ে তিন মাস ধরে যাঁকে তীব্র ব্যঙ্গ বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে। বাংলার মানুষ, মেদিনীপুরের মানুষ সেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপের জবাব দিয়েছেন আমাকে জিতিয়ে। জয় বাংলা।”

স্বাভাবিকভাবেই সুজয়ের এই আবেগি-ভাষণে হাততালিতে ফেটে পড়ে প্রায় গোটা বিধানসভা। এরপরই,‘শপথবাক্য’ পাঠ করা শুরু করেন মেদনীপুরের নবনির্বাচিত বিধায়ক সুজয় হাজরা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, সোমবার সাত সকালেই স্ত্রী মৌসুমী হাজরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি সহ ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের নিয়ে কলকাতা উড়ে গিয়েছিলেন সুজয়। গোটা প্রচার পর্বের মতোই তাঁর প্রথম বিধানসভা যাত্রাতেও সঙ্গী হয়েছিলেন খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান দীনেন রায়। এছাড়াও ছিলেন, খড়্গপুরের পৌরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ, শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব, জেলা ও শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মামণি মাণ্ডি ও মৌ রায়, জেলা পরিষদের সদস্যা শ্রাবন্তী মন্ডল, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি গোপাল খাটুয়া, শ্রমিক নেতা চঞ্চল দত্ত, ছাত্রনেতা আমার প্রসেনজিৎ বেরা, আরবাজ হোসেন সহ অনেকেই।

কলকাতা থেকে ফিরে সোমবার রাতে সুজয় জানিয়েছেন, “অসাধারণ অভিজ্ঞতা। দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। প্রাথমিক কাজ হবে শহর মেদিনীপুরকে যানজট মুক্ত করা। এ জন্য সকলের সহযোগিতা লাগবে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জেলা শহর মেদিনীপুরে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে এখন প্রায় ৮-১০ হাজার টোটো চলে। এর মধ্যে গ্রাম থেকে টোটো আসে প্রায় ৫-৬ হাজার। এক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুরের নবনির্বাচিত বিধায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *