লকডাউনে বিক্রি বেড়েছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের

স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৮ জুন: লক ডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বিধিনিষেধ মেনে চলার কারনে অন লাইনের মাধ্যমে চলছে ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠন। ফলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে অত্যাবশকীয় হয়ে পড়েছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। আর এই অন লাইনে পড়াশুনার কারনে বিক্রি বেড়েছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের। লক ডাউন খুলতেই রায়গঞ্জের মোবাইলের দোকানগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কেনার জন্য ভিড় বাড়ছে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকদের।

স্কুল কলেজ বন্ধ, বন্ধ কোচিং ক্লাস বা প্রাইভেট টিউশন পড়ানো। বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকেরা এবং কোচিং ক্লাসের শিক্ষকরা এখন ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে পড়াশুনা করাচ্ছেন। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীই বাধ্য হচ্ছে মোবাইল ফোনের ব্যাবহার করতে। ফলে ধনী থেকে দরিদ্র সব ধরনের ছাত্রছাত্রীদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনতে হচ্ছে পড়াশুনা চালু রাখার জন্য। আর এর জেরেই মোবাইল ফোনের অস্বাভাবিক বিক্রি বেড়েছে রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুরে।

জানুয়ারি মাস থেকেই নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু হয়ে গিয়েছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এই সময়ে দুটো সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে লক ডাউন চলায় সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে রয়েছে। বন্ধ হয়ে আছে প্রাইভেট টিউশন থেকে সমস্ত কোচিং ক্লাসও। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যক্রম ও সিলেবাস তো সম্পূর্ণ করতেই হবে। চালিয়ে যেতে হবে পড়াশুনাও। তাই প্রাইভেট টিউশনের শিক্ষক থেকে বিভিন্ন কোচিং ক্লাসের শিক্ষকরা অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করছেন। আর এই অনলাইনে পড়াশুনা করার অন্যতম মাধ্যম হল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। অনলাইনে শিক্ষকেরা ক্লাস করানোর ফলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে অতি অত্যাবশকীয় হয়ে পড়েছে মোবাইল ফোন। আর সেই ফোন কিনতেই ভিড় বাড়ছে মোবাইলের শোরুম থেকে দোকানগুলোতে। ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা জানালেন মোবাইল ফোন ছাড়া অনলাইনে পড়াশুনা সম্ভব নয় তাই প্রায় সকল ছাত্রছাত্রীকেই এখন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে হচ্ছে। অনলাইনে পড়াশুনা চালু হওয়ায় মোবাইল ফোনের যে বিক্রি একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে তা স্বীকার করেছেন মোবাইল বিক্রেতারাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *