আমাদের ভারত , বালুরঘাট, ১১ ফেব্রুয়ারি: অবৈধ টোটো ধরতে মাঠে নেমে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে কিছুটা পিছু হটল আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক। পুরসভার প্রদান করা টিন নম্বরের টোটো ধরা নিয়ে মতপার্থক্য পুলিশ ও আরটিওর। মঙ্গলবার বিকেলে অবৈধ টোটো বন্ধের প্রথম দিনেই শহরের রথতলা এবং নারায়ণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু টোটো ও ই’রিক্সা আটক করেছেন আরটিও সন্দীপ সাহা।
এদিন শহর জুড়ে নম্বরহীন টোটো, টিন নম্বরের ই’রিক্সাগুলিকে অবৈধ ঘোষণা করে অভিযানে নামলেও প্রথম থেকেই কিছুটা পুলিশি বাধার সন্মুখীন হন আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তারা। যদিও প্রথমদিনের এই অভিযানকে ঘিরে মাঠে নামানো হয়েছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। শহরের নারায়ণপুর ও রথতলা এলাকা থেকে বেশকিছু নম্বরহীন অবৈধ টোটো আটক করে নিয়ে আসা হয় থানায়। একাধিক টোটো চালকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু ভুয়ো নম্বর প্লেটও। যদিও প্রথম থেকেই এই অভিযানে আরটিও দপ্তরকে কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে পুলিশ আধিকারিকরা বলে অভিযোগ।
এদিন পুরসভার ইস্যু করা টিন নম্বরের টোটোগুলিকে আটক করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই একগাল হেসে দেন আরটিও। তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে নম্বরহীন টোটো ও ই’রিক্সাগুলিকে আটক করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশে ৩১শ মে’র পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অবৈধ টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। যা নিয়ে ফ্লেক্স পোস্টার সহ মাইকিং করে প্রচারও সারে আরটিও দপ্তর। যদিও টোটো চালকদের দিকে তাকিয়ে শাসক দল সহ বিরোধীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দফায় দফায় সেই সময় আরও কিছু দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ ফের টোটো বন্ধে অভিযানে নেমে কিছুটা পুলিশি বাঁধার মুখে পড়েন আরটিও। কোর্টের জারি করা নির্দেশ কার্যকর করতে আরটিও প্রশাসনকে কেন আজ বার বার পুলিশ প্রশাসনের বাধার সন্মুখীন হতে হয় তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের অনান্য জেলায় জেসিবি নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রশাসনকে অবৈধ টোটো গুড়িয়ে দিতে দেখা গেলেও এই জেলায় এখনও সেরকম কিছুর দেখা মেলেনি। যাকে ঘিরেও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও টোটো চালকদের একাংশের দাবি, সামনেই পুরভোট রয়েছে। ভোট বাক্সে যাতে কোনও প্রভাব পড়তে না পারে সেই জন্যই পুলিশ প্রশাসনের তরফে এমন কৌশল ও বাধার পথ অবলম্বন করা হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। আর যে কারণেই টিন নম্বরের টোটোগুলিকে এদিন আটক করতে বাধা দেওয়া হয় বলেই মনে করছেন বৈধ টোটো চালকদের একাংশ।
টিন নম্বরের টোটো চালক শুভঙ্কর সাহা জানিয়েছেন, তাঁদের টোটো জমা করে ই’রিক্সা নিতে বলেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজয় পাল নামে এক টোটো চালক বলেন, নম্বরহীন অনেক টোটো ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরে। তিনিও বাইরে বেড়িয়েছিলেন। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
ডিএসপি (ট্রাফিক) অরিন্দম পাল চৌধুরী জানিয়েছেন, অবৈধ টোটোগুলিকে আটোক করা শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে আগামীতেও এই অভিযান চলবে।
আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মন্ডল জানিয়েছেন, কোর্টের নির্দেশ মেনে অবৈধ টোটো বন্ধ করে বৈধ টোটোগুলো যাতে সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হোক।