আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৫ মার্চ: ভগবান মহাবীরের নির্বাণ লাভের ২৫৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বিশেষভাবে মহাবীরকে শ্রদ্ধা জানাবে। এই উপলক্ষে স্বয়ংসেবকরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান করবেন এবং মহাবীরের পঞ্চনীতিকে ব্যক্তিগত জীবনে কাজে লাগাবেন।
এক বিবৃতিতে সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছে, “ভগবান মহাবীর ২৫৫০ বছর আগে নির্বাণ লাভ করেছিলেন। কার্তিক অমাবস্যা তিথিতে অষ্টকর্ম অর্থাৎ আট রকম কর্মকে জয় করে নির্বাণ লাভ করেন। মানবজাতিকে তিনি জ্ঞানের আলোকের প্রবেশের দ্বার দেখিয়েছিলেন। তিনি তাঁর জীবন আত্মবিকাশ ও সমাজের কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। মানব কল্যাণই ছিল তাঁর ধ্যান, জ্ঞান। মানব কল্যাণের কথা মাথায় রেখে তিনি পঞ্চনীতির প্রবর্তন করেছিলেন। এগুলি হল- সত্য, অহিংসা, ধৈর্য্য, অপরিগ্রহ ও ব্রহ্মচর্য। সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে লড়াই করেছেন। তিনি বলতেন, মহিলারা সমাজ গড়েন। তাঁদের হৃত মর্যাদা ফেরানো প্রয়োজন।
মহাবীর প্রবর্তিত অপরিগ্রহ নীতির ফলে মানুষ পার্থিব বস্তুর থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করে। বাড়তি সম্পদ দান করে সমাজের কল্যাণে। পরিবেশ বাঁচাতে ভোগবাদী জীবনযাত্রা থেকে মুখ ফেরাতে হবে আমাদের। এজন্য প্রয়োজন অপরিগ্রহ নীতির। মহাবীরের অহিংসা ও সহ-অস্তিত্বের শিক্ষা আজকের সমাজেও ভীষণরকম প্রয়োজন। বিশ্বকে বাঁচানোর জন্যই এটা প্রয়োজন। কর্মনীতির ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, কর্মের জন্যই কোনও মানুষ সুখ ভোগ করে। দুঃখ-কষ্টের জন্য অন্যকে দোষারোপ করা উচিত নয়।
বর্তমান ভারত ক্রমশ এগোচ্ছে বিশ্বগুরু হওয়ার দিকে। এজন্য ‘স্ব’য়ের ওপর নির্ভর করছে দেশ। ভারতের অন্তরাত্মা বলছে, “তুমি বিশ্বকে নেতৃত্ব দাও।” রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বিশ্বাস করে যে বর্বমানে মহাবীরের দেখানো পথেই আমাদের হাঁটা উচিত। আশা করা যায়, সমাজও মহাবীরের শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করবে।”