আমাদের ভারত,২০ ফেব্রুয়ারি: ভারতে থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা পালিয়ে যাচ্ছে নেপালে। আর তাতে জঙ্গি সংগঠনের মদত রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এলো। রিপোর্টে ৩৭৮ জন রোহিঙ্গা মুসলিম সম্পর্কে এই তথ্য সামনে এসেছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনে ধরে ভারত সীমান্তে গিয়ে বসবাস শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। এই ঘটনার সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে জানাগেছে। তাদের সহযোগিতাতেই নেপাল সীমান্তে একেবারে জমি কিনে সেখানে বসবাস শুরু করছে রোহিঙ্গারা।
গোয়েন্দা দপ্তরের এক আধিকারিক সূত্রে খবর, তারা নেপালের নাগরিকত্ব হাসিল করার জন্য ইতিমধ্যেই হাজার হাজার টাকা ঘুষও দিচ্ছে। নাগরিকত্বের জন্য ফোঁড়েরা এদের কাছ থেকে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা নিচ্ছে।
নেপাল সীমান্তে ধাদিং জেলায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রায় ৩৫ জনের অস্থায়ী ঘর দেখা গেছে। যা গত কয়েক দিনেই তৈরি হয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকজন পনৌতি জেলাতেও বসবাস শুরু করেছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী নেপালের ইসলামিক সংগঠন এই রোহিঙ্গা মুসলিমদের বসবাস করতে সাহায্য করছে। এই ইসলামিক সংগঠনের গতিবিধি রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহজনক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের গতিবিধির ওপর কড়া নজরদারি চালানো দরকার। পাকিস্তানের আইএসআই মদতে দীর্ঘদিন ধরে ভারত নেপাল সীমান্তে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশের মত জঙ্গি সংগঠন তাদের বেস ক্যাম্প তৈরির চেষ্টা করছে। ফলে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের এই আর্থিক সহযোগিতা করা, ভারত নেপাল সীমান্তে এনে তাদের বসানোর পেছনে বড় কোনও চক্রান্তের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
কয়েক মাস আগে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জানিয়েছিল পাকিস্তানের আইএসআই থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের বর্ডারে মেরিসিট নামে একটি জায়গায় জঙ্গি ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেখানে রোহিঙ্গা জেহাদিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল আইএসআই এই ক্যাম্পগুলিতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে হামলার ছক কষছে। কিছু খালিস্তানি জঙ্গিকে জেরা করে এই তথ্য উঠে আসে। জানা গিয়েছিল ওই ক্যাম্প গুলিকে সক্রিয় করার জন্য হাফিজ সৈয়দ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।