আমাদের ভারত, হাওড়া, ৬ জানুয়ারি: রাতের অন্ধকারে গৃহস্থের বাড়ির গেটের গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গৃহস্থকে মারধর করে সোনার অলংকার, নগদ টাকা সহ মূল্যবান কাগজপত্র ডাকাতি করে নিয়ে পালালো ৬ জনের দল। মঙ্গলবার রাতে শ্যামপুরের বেলাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুলপুর গ্রামের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ৫৮ গেট ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানাগেছে, মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ ৬ জনের দুষ্কৃতী দল রসুলপুরের পানচাষি সরোজ দাসের বাড়িতে হানা দেয়। দুই দুষ্কৃতী বাড়ির বাইরে পাহারা দেয় এবং চারজন ঘরের ভেতরে ঢোকে।
সরোজ দাস জানান, মুখ ঢাকা অবস্থায় দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ছেলের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। পরে জোর করে আমার ঘরে ঢোকে। তিনি জানান, দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢোকার পর ভোজালি গলায় ঠেকিয়ে আলমারি থেকে টাকা, সোনার অলংকার এবং কাগজপত্র বের করে নেয়। পরে ঘরের মধ্যে থাকা স্ত্রী ও মেয়ের গায়ের সমস্ত গয়না খুলে নেয়। সরোজ দাস জানান, ঘরে লুটপাট চালানোর সময় তিনি বাধা দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা ভোজালি দিয়ে তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করে। পরে বাইকে চেপে পালিয়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনার পর বুধবার সকালে ঘটনার তদন্তে নামে ৫৮ গেট ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, যেভাবে দুষ্কৃতীরা কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে তাতে আমাদের সন্দেহ সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে এই ডাকাতি। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগে শ্যামপুরের নবগ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।