Sukanta, BJP, উত্তর-পূর্ব ভারতে বিনিয়োগের দরজা খুলতে কলকাতায় হয়ে গেল রোড-শো, উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ৭ মার্চ: উত্তর-পূর্ব ভারতে বিনিয়োগের দরজা খুলতে কলকাতায় শুক্রবার একটি রোড শো‌ হয়ে গেল। মোদী সরকারের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্যোগে এই রোড শো হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই রোড শো’য়ে উপস্থিত ছিলেন। উত্তর ও পূর্বের রাজ্যগুলির সরকার ফিকি ও ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় এই রোড শো’র আয়োজন করা হয়।

হোটেল জে ডাব্লু ম্যারিয়ট থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। ভারত সরকারের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান উপদেষ্টা ধর্মবীর ঝাঁ এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পদস্থ কিছু প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

আগামী মে মাসে দিল্লিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক কর্মসূচি হিসেব এই পদযাত্রা হলো আজ কলকাতায়। এতে উত্তর পূর্বের আটটি রাজ্য যথা অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরার প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

ভারত সরকারের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানান, ভারতবর্ষে বিভিন্ন স্টেট ক্যাপিটালে এই রোড শো করা হয়েছে। এর আগে তিনি আমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদে রোড শো করেছেন। এছাড়াও মন্ত্রকের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অন্যান্য শহরে পদযাত্রা করেছেন।

এই রোড শো কলকাতায় করার উদ্দেশ্যে কী? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ” এক সময় ভারতবর্ষের জিডিপিতে সবথেকে বড় কন্ট্রিবিউটর ছিল কলকাতার। আমার মনে হয় বাংলাতে অনেক সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে উত্তর পূর্বাঞ্চল ও বাংলা পরস্পর একেবারে সংযুক্ত। যদি বাংলা না থাকে তাহলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের অস্তিত্বই থাকবে। ভারতবর্ষের একটা বড় অংশ সেভেন সিস্টার এবং সিকিমের উন্নয়ন হলে তার বন্দর হিসেবে বাংলার বন্দর ব্যবহার হবে। কারণ তাদের কাছে আর কোনো বন্দর নেই। স্বাভাবিকভাবে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য যদি বিনিয়োগ হয় তা পশ্চিমবঙ্গের জন্য লাভজনক।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, “ইতিমধ্যেই ৯৭০০০ কোটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও মৌ স্বাক্ষর হয়েছে। মে মাসে নর্থ-ইস্টের একটি বিনিয়োগ সামিট হবে দিল্লিতে। আমরা ইতিমধ্যে ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে মিটিং করেছি। ভারতবর্ষের উত্তর পূর্বাঞ্চল অর্থনৈতিক এবং শিল্পের উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে। তাই প্রধানমন্ত্রী অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি নিয়েছেন, তার মাধ্যমে বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চলছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *