আমাদের ভারত, ৭ মার্চ: যাদবপুরের অচলাবস্থা পরিকল্পনা করে তৈরি করা হয়েছে। এটা আসলে বাম ও তৃণমূল একে অপরের পিঠ চুলকে দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। আজ কলকাতায় সাংবাদিকদের এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তাঁর মতে, বামেদের শক্তিশালী করতে তৃণমূল নেত্রীর এটা একটা রাজনৈতিক কৌশল। তাঁর দাবি, বামেদের জাগানোর চেষ্টা চলছে, যদি হিন্দু ভোট কাটতে পারে, কারণ হিন্দু তৃণমূল থেকে সরে যাচ্ছে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা পরিকল্পনা করে করা হয়েছে, তার অন্যতম প্রমাণ ব্রাত্য বসু এতদিন শিক্ষামন্ত্রী রয়েছেন কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে যাদবপুরে কেন তার যাওয়ার প্রয়োজন হল?
তিনি জানান, যাদবপুরের অচলাবস্থার বিষয় তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে রয়েছেন। রাজ্যপাল উপাচার্যকে ডেকে পাঠিয়েছেন। প্রথমে তিনি যেতে পারেননি। এখন যেতে পেরেছেন কিনা তা জানা নেই তাঁর। তবে তিনি রাজ্যপালের অফিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে রয়েছেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনা স্পন্সর এবং পরিকল্পিত। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে উস্কে দেবে, আবার আরেক পক্ষ অন্য পক্ষকে উস্কে দেবে, এবং এটা চলতেই থাকবে। এটা আসলে হাইপ দেওয়ার কাজ চলছে। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, “এই পেটি পলিটিক্স দিয়ে বাংলার মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, আমার বিশ্বাস বাংলার মানুষ আর বোকা হবে না।”
তাঁর কথায়, এটি একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে বামকে একটু শক্তিশালী করে দেওয়া হচ্ছে। কারণ এই সময় বামেরা আলোচনার মধ্যেই নেই। গত লোকসভার পরে একেবারে ধপাস করে পড়ে গেছে বামেরা। সব মিলিয়ে ৬০ লক্ষ্যের আশেপাশে ভোট আছে তাদের। আগামী বিধানসভায় ৪০ লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। কিন্তু বামেদের এই কুম্ভকর্ণের ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে কিছু হিন্দু ভোট কেটে নেওয়া যায়। বাম এবং তৃণমূল পরস্পর পরস্পরের পিঠ চুলকে দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। এরকম বেশ কিছুদিন চলবে।”
তাঁর মতে, “এই অচলাবস্থা আমার কাছে আর্টিফিশিয়াল মনে হয়েছে চাইলেই এটা কেটে যায়।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ব্রাত্যবাবু তিন বছরের বেশি শিক্ষামন্ত্রী আছেন। এর মধ্যে একবারও যাদবপুরে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না, হঠাৎ করে ভোটের আগে ঠিক এক বছর যখন বাকি আছে তখন যাদবপুরে যাওয়ার কী প্রয়োজন হল?”