আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৩ জানুয়ারি: আর্থিক অনটনের জেরে আত্মহত্যা করলেন অবসর প্রাপ্ত চুক্তিভিত্তিক ভোকেশনাল শিক্ষক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুর থানার চৌখালী এলাকায় চৌখালী হাইস্কুলের ভোকেশনালের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ছিলেন তপন পট্টনায়েক। তিনি ২০০৫ সাল থেকে চুক্তির ভিত্তিতে শিক্ষকতা করতেন চৌখালী হাইস্কুলে। প্রায় এক মাস আগে স্কুল থেকে অবসর নেওয়ার পরে আর্থিক অনটনে পড়েন তপনবাবু।
সম্প্রতি কলকাতার শহিদ মিনারে বঞ্চিত বৃত্তিমূলক বিভাগের শিক্ষক, প্রশিক্ষক, নৈশপ্রহরী এবং নোডাল কর্মচারীদের যৌথ আন্দোলন ছিল বেতনবৃদ্ধি, সমকাজ সমবেতন, অবসরকালীন ভাতা সহ মোট ১৫ দফা দাবি নিয়ে। কলকাতায় সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তপনবাবু। আন্দোলন থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর আর্থিক অনটন নিয়ে পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। এরপর ১২ তারিখ দুপুরে চৌখালি বাজার সংলগ্ন এলাকায় নিজের হোমিওপ্যাথি চেম্বারে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তপনবাবু।
প্রসঙ্গত, তপনবাবুর ২ মেয়ে ও ১ ছেলে আছে। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলও আরেক মেয়ে বিবাহ যোগ্যা এবং ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বাড়ির সমস্ত খরচ খরচা বহন না করতে পারায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তপনবাবু। এর ফলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি বলে দাবি তার পরিবারের। আজ সকালে ময়না তদন্তের জন্য দেহ আনা হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে তপনবাবুর মরদেহে মাল্যদান করে সমদেবদনা জানান সহকর্মী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষক-প্রশিক্ষক- শিক্ষাকর্মী যৌথমঞ্চের সাথে যুক্ত কর্মীরা। এই ধরনের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।