ভোটের আগেই দাগী পুলিশদের ব্ল্যাক লিস্টেড করে বাড়ি পাঠাব: দিলীপ ঘোষ

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৩ জানুয়ারি: “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে আমরা বুথে থাকতে দেব না। দাগী পুলিশদের ব্ল্যাক লিস্টেড করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যত পুলিশ ভোট লুটে মদত দিয়েছে তাদের গ্যারেজ করে দেওয়া হবে। বুধবার সকালে একথাই বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের ৫৬ নম্বর বাস স্ট্যান্ডে চা চক্রে এসেছিলেন বিজেপির রান্য সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, আমরা রাজ্য পুলিশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলাম, সেইজন্য বার বার রাজ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা আসছে। আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করব। মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবে, রাজ্যের পুলিশ ১০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে ভোট উৎসব দেখবে। এবার আর ভোট লুঠ হবে না। নির্বিঘ্নে মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে।”

মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে হাবড়ায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছিলেন, বিজেপির ১৮ জন সাংসদের মধ্যে ৭ জন সাংসদ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবে।” খড়দহে চা চক্রে যোগ দিয়ে পাল্টা দিলীপ ঘোষ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি বলেন, “বিজেপির একজন বুথ সভাপতিকে তৃণমূল তাদের দলে যোগদান করিয়ে দেখাক, আমরা সামনের মাসে তৃণমূলের ৫০ জন বিধায়ককে বিজেপিতে যোগ দান করিয়ে দেখাব।” এদিন দিলীপ ঘোষ খড়দহের বিধায়ক রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের কাজের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে একটাও শিল্প গড়ে ওঠেনি। উনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মানুষ উনাকে খুঁজে পায় না। যত চোর, গুন্ডা সবাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসে ঢুকেছে। মা মাটি মানুষ জিন্দাবাদ বললেই জানে সাধারন মানুষ ভয় পাবে। ভালো লোক নেই তৃণমূলে। আজকে আপনার সঞ্চয়ের জমানো টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেও মানুষের দুশ্চিন্তা কাটছে না। আপনার টাকা দিয়ে কেনা বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম সিন্ডিকেটের কাছ থেকে যখন নিচ্ছেন তখন ওরা আপনাকে ঠকাচ্ছে। কোনও দিন আপনার ছাদ মাথায় বা ঘাড়ে ভেঙ্গে পড়বে কেউ জানে না, এভাবেই চলছে। আমরা বাংলায় স্থায়ী, সুন্দর সরকার গড়ব। বাংলার ছেলেমেয়েরা বাইরে ভিন রাজ্যে কাজে যাবে না, বৃদ্ধ বাবা মাকে ছেড়ে যাবে না। বাংলার যুবক যুবতী বাঙলাতেই চাকরি করবে। কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকলে কাজের সমন্বয় করে রাজ্যের উন্নতি হবে, যেরকম বিজেপি শাসিত রাজ্যে হয়েছে। তাই আর বেশিদিন নেই ৩/৪ মাস পরেই এই সরকার চলে যাবে। এই সরকার ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার ভয়ে পৌরসভা ভোট করায়নি। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, ভোট হলেই তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *