আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৪ মার্চ: উড়লো লাল আবির, সঙ্গে চললো মিষ্টি মুখ। শোকজের জবার দিতে এসে স্কুল ইন্সপেক্টরের দপ্তরে এই ভাবেই অকাল হোলিতে মাতলো বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। এই চিত্র কেবল জলপাইগুড়ি সদর পূর্ব এবং পশ্চিম মন্ডলেই নয় জেলার ১৮টি সার্কেলে একই দৃশ্য দেখা গেল।
বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবি সহ আরো কয়েকটি দাবি তুলে ধরে গত ১০ তারিখ রাজ্য জুরে সরকারি দপ্তর, স্কুল, কলেজে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয় সিআইটিইউ অনুমোদিত সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে। এদিকে ধর্মঘটের দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে ধর্মঘটি স্কুল শিক্ষকদের শোকজ করা হয়। সেই শোকজের উত্তর দিতে এসেই একেবারে উৎসবের মেজাজে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা।
এদিকে শোকজের উত্তর দিতে এলেও জেলার বেশ কিছু সার্কেলে তা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝাঁ। তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কেন ধর্মঘটে সামিল হয়েছিল তার জন্য জেলার প্রায় ১ হাজার শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। আজ জেলার ১৮টি সার্কেল অফিসে শোকজের উত্তর দেওয়ার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকারা যেতেই দেখা যায় সেখানে দপ্তরের কেউ নেই, সেই কারণেই তাদের চিঠি কেউ গ্রহণ করছে না। এই ঘটনা রাজগঞ্জ, ধুপগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গার সার্কেল অফিসে দেখা যাচ্ছে। যে কারণে শিক্ষক শিক্ষিকারা সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন৷ তবে ধর্মঘট যেহেতু সফল, তাই শোকজের উত্তর দিতে এসে শিক্ষক শিক্ষিকারা লাল আবির মেখে মিষ্টি মুখ করে তাদের আন্দলনের নৈতিক জয়ের জন্য উল্লাস করেন বলে বক্তব্য বিপ্লব বাবুর।