রাজেন রায়, কলকাতা, ২৬ নভেম্বর: শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে কোন অবস্থানে রয়েছেন, তা নিয়ে ঘোর জল্পনা চলছে খোদ দলের অন্দরেই। একদিকে তার সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূল বিধায়ক সৌগত রায় দাবি করেছিলেন শুভেন্দু আছেন দলের মধ্যেই। রামনগরের সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, দলনেত্রী আমাকে তাড়িয়ে দেননি আর আমিও ছেড়ে যাইনি।’ কিন্তু সেই সব মন্তব্যের মাঝেই বৃহস্পতিবার হুগলি নদী ব্রিজ কমিশনারের চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর ইস্তফার পর দ্রুত ওই পদে নিযুক্ত হয়েছেন তৃণমূলের প্রথম সারির সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে শুভেন্দুর তৃণমূলে গুরুত্ব কমছে নাকি তিনি দলবদলের পথে হাঁটছেন, বাস্তবে সেটা নিয়েই জল্পনা মাত্রা ছাড়িয়েছে।
যদিও দলের অভ্যন্তরে দাবি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের শুভেন্দুকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেই তাকে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুভেন্দুর ক্ষমতা বৃদ্ধির বদলে খর্ব হওয়াই দেখছেন সাধারণ মানুষ। গত মঙ্গলবার খেজুরিতে হার্মাদ মুক্ত দিবস উপলক্ষে পথসভাতে বাক স্বাধীনতা চিরস্থায়ী করার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর খেজুরি থেকে সিপিএমকে বিতাড়িত করার দিনটি হার্মাদ মুক্ত দিবস হিসেবে প্রতি বছর পালন করা হয়। রাস্তার পাশে ও সভাস্থলের কাছে তৃণমূলের পতাকা, শুভেন্দু অধিকারী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট লাগানো ছিল।
রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দুকে নিয়ে তরজার মধ্যে তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ও বলেছিলেন, ‘দল সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে চায়। শুভেন্দু তৃণমূলে রয়েছে। দলের মধ্যে আমরা সবার সঙ্গে সদ্ভাব রক্ষা করতে চাই। এই চেষ্টায় কখনও সাফল্য আসতে সময় লাগে। কখনও তাড়াতাড়ি হয়।’ কিন্তু যেভাবে শুভেন্দু এদিন এইচ আর বি সি-র চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন, তাতে তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবন নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গেল। যদিও এসব নিয়ে খোদ শুভেন্দু অধিকারী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।